এখানে আলাদীন এসে বসেন না
তার প্রদীপের ঘর্ষণে
বেঁচে ওঠে না আদিম ভস্মের যুুগ ।


অথচ কৃত্তিম আলোয় পারিজাত,কৃত্তিকা,রেবতীর
প্রমোদোদ্যানে চতুর্ভূজের মদির আলোয়
মুহূর্মুহ জন্মান তিনি, কেয়ুর হয়ে,বধির হয়ে,পদ্মনাভে..........


আমি কাল্ কে প্রশ্ন করি,তুমি রেবতী হলে কবে ?
অথচ তোমার চতুষ্পার্শে সেই কাদম্বরীর
কোন লজ্জা দেখিনি তো আমি


ঝোলানো রশিটায় আলাদীনের কর্ষণ কই
কোথায় তোমার অশ্র্র্রু প্লাবিত আরেক মরুদ্যান............


যেখানে ঠায় দাঁড়িয়ে থাকে
আরেক তীর্যক চোখ,খন্ডিত হতে হতে লুপ্তপ্রায়
অবশিষ্টাংশ জুড়ে আজ কেবল হ্যালোজেনের
জৈবিক চরিত্রায়ন মেরুদন্ডের পাথরে
খোদিত হয়ে আছে ।


আমার সময়ের কাছে, প্রশ্নের কাছে,অতীতের কাছে
জলোচ্ছাসের মিলিত উদ্বাহু
সেঁটে দিয়ে গেছে অখন্ড বীজমন্ত্র আমি ভূ খন্ড হয়ে যাচ্ছি,
প্রস্তর হয়ে যাচ্ছি ,খর্ব হয়ে চলেছে
পেশী,শিরার রক্ত বাহক


রমনোদ্যানে আলাদীন জ্বেলেছেন বৈকুন্ঠালোক
তার তির্যক ছুঁয়ে যাচ্ছে আমার কপোল
জীবন থেকে জন্মে চলেছে ক্ষোভ,গ্লানি,রিরংসার শ্লাঘা প্রত্যঙ্গ
কুয়াশাচ্ছন্ন বিশাল বেদীটায় বসানো হয়েছে
আমার বিচ্ছিন্ন দেহটাকে, আজ এবং আজও সেই অবিকল দৃষ্টি


খন্ডিত হয়ে চলেছে বারংবার ।


...................................................................................
                (২)
খুন নয়, আমরা চেয়েছি অনুনয়,
কাঁধে কাঁধ রেখে পাঁজরের শোধে
জ্বালাব আগুন দুর্জয়।
আমাদের কাছে জানতে চেয়েছো
প্রতি প্রহরের দাম,
খুলিতে রেখেছ দশক দশক মিথ্যার অবমান।
নোংরা পাঁকের বিষদাঁত থাবা হেনেছ নির্বিকার,
দেহের রক্তে শোধন চেয়েছে উন্মাদ হানাদার।
সম্ভাবনার যোনী ছিড়ে গেছে হায়েনার থাবা নখে,
আড়ালে ওদের লাল,নীল মুখ বাড়ছে দুর্বিপাকে ।
হাতে, আঙুলেও লোহার শেকল, পিছে বাঁশ হরদম,
মঞ্চের আলো ফোকাস ফেলেছে বাঁশেদের জয়গান।
আমরা আঁধারে বিষদাঁত গনি ওদের জয়ধ্বনী,
আদরে,সোহাগে ঘৃতের ফসলে খড়ার আগার বুনি।
ওরা পান করে আঁতরের সুধা আমাদের অনাহার,
লাল শাড়ী,শাঁখা ,চেলীর কদরে আমরা বহিষ্কার।
জলে ভেসে যাবে অন্ন,বস্ত্র সাধের সরজ্ঞাম,
সে তখন সুখে সিঁথিকে রাঙাবে সজ্জার মধুযাম।
অশান্তি নয় আমরা চেয়েছি মানুষের জয়কার,
স্বাধীন মাটিতে রক্ত ফসলে আমাদের প্রতিকার ॥