ঠিক এভাবেই তৈরী আমি
উত্তাপ উথ্থান পতনে
এভাবেই, বেপরোয়া গনগনে তাপে
লাগাম কষিয়ে নৃত্যবিভঙ্গে উত্তাল
সময়কে পিষে দুমড়ে মুচড়ে
আমার ব্যপ্তি
আমি হীন নই, শুধুমাত্র বলিষ্ঠ প্রেক্ষার
একচ্ছত্র হাতে কয়েদ করে রাখি
অন্যের সুখ দুঃখের বনিয়াদ
নিজ গুনে তাতে
সময়ের মালা বদল
তীর্থের বারাণসী ঘাটে দুপুর গড়িয়ে সন্ধ্যের
আবছা জলে এসে বসে আমার
কড়কড়ে যৌবন
তাতে তোমাদের খানিক স্বেদাশ্রু
আমি বিবর্তিত হই না
যখন তোমার
অমাবস্যায় ঘোর গ্রহণ লাগে
আমি চেটে পুটে নিই
সবটুক জ্যোৎস্না, হ্যাঁ দ্যাখো
এই তালুতে বন্য পৌরুষ কেমন শিশুর মত বাধ্য
আমি দারিদ্র্যের উত্তাপে
শরীর জাগাই, স্নায়বিক, নিরুতপ্ত বুকে
হাপর জ্বেলে মেতে উঠি যজ্ঞে
হেঁটে চলি দেহ থেকে
অলি গলির ঘাম রক্ত শ্রমে
পিষে দিই, কেটে দিই, ফেলে দিই
মেরে দিই একান্ত স্বার্থে
না না আমায় প্রমাণ করতে চেও না
আমি ঠিক এমনই, এভাবেই
শাপ শাপান্তে দগদগে ক্ষতে
লকলকে কাম কামনাতে, এভাবেই আমি ঠিক