শুরু, সেই মাতৃগর্ভের প্রথম কান্নায়--
হাতে ধরা ছিল নার্সের
একটু বড় হয়ে ভাইয়ের চূড়ান্ত প্রতিদ্বন্দী সর্বক্ষণ
কেন মেয়ে ?  
মেয়ে অর্থাৎ ঘরের যাবতীয় কাজের দায়িত্ব-
মুড়োটা.দুধটা,ফলটা.ঘি-টা সবটা ভায়ের-
নিজের চুল ছিড়লাম রাগে,
বাবার ধারে কাছে ঘেঁসিনি দশমাস
খাবার পাতে ইচ্ছে করেই জল ঢেলেছি বহুবার,
থাকলেও বলেছি খিদে নেই।
একরাশ পানসে জীবন আঁকড়ে বড় হচ্ছিলাম
মাত্র চারটি অঙ্ক কাটা বলে আমাকে প্রথম করা হল না,
জানলাম প্রিয় ছাত্রী তালিকায় আমি নেহাৎ সংযোজন।
সুফলটা পেল ভাই,
কি মাষ্টার,কি কোচিং,কি টিউশন্ --
বাড়লাম আমি,একরাশ ঘেন্নায়,ক্রোধে
মায়ের মৃত্যুর পর জানলাম আমার সাতটা মা'
আবার আমি দ্রোহী হলাম--কিন্তু অসহায়!
জগৎ,সংসার আমায় বাহবা দিলো,বলল- "ধন্য জীবন"
প্রথম আমার শিরা কাটা ব্লেড্ ধরে ফেল্ল ডাক্তার
পাঁচজন ছিল আমার পানীগ্রাহী---
নিজেকে সামান্য ভাগ্যবান মনে হতেই
দেখি, পর পর বোনেরা সেঁটে গেছে কায়িক প্রেমে,
লাথি কষালাম সংসার,জগৎ,বাবা,বোনের
নির্লজ্জ অধিকারকে, অতঃপর নিজের অস্তিত্ব-কে,
জন্মকে,অবস্থাণকে।