মরতে মরতে বাঁচা
আর বাঁচতে বাঁচতে মরা ছেলেটি আজ খুব ক্ষুরধার
কেউ ওকে পরাজিত করতে পারেনি
পারেনি ঠকিয়ে কেড়ে নিতেও,
ও দেখেছিল বাম হাতে ঘুষ নিয়ে কিভাবে
বদলে দেয় ওরা একটি ভবিষ্যত
দেখেছিল ডাস্টবিন জুড়ে এ গ্রেডের দোমড়ানো মোচড়ানো প্রগ্রেসপত্রে লেগে আছে আফিস কর্তার
টিফিন বিরিয়ানীর তেল মশলার ছোপ,নিয়োগ প্যানেলে
আজও যে ছেলেটি ঝুঁকে পরে আছে ,
মাত্র একটি সুযোগের অপেক্ষায় -


অনেকগুলি শুষ্ক মুখ
আর কিছু কৌতূহলী চোখের প্রশ্নবানে
জর্জরিত, বেড়িয়ে পরে অকারণেই যে কোন
অজুহাতে - ভর দুপুরে ঘরে ফেরে এদিক সেদিক ঘুরে।
তারপর দুটি জল বাতাসা মুখে দিয়ে
হুমড়ি খেয়ে পরে মায়ের হাড় কঙ্কাল পায়ের তলায়


আফিসের উচ্চ মহল সরগরম
নোট আর নেশার গন্ধে বেপরোয়া
চতুর্থ শ্রেণীর খানসামাও জানে ঐ ট্রের নিচে কোনো
যুবকের অন্তিম নি:শব্দ মৃত্যু স্বীকৃতি।


প্রতিজ্ঞা করেছিল যে কোন উপায়ে
খোঁজ রাখেনি কেউ বলেছে 'পাগল'
টিটকিরি দিয়ে কেউ
ফাঁকা বোতল ছুঁড়েছে গায়ে , নিঁখোজ সে বহুদিন !


বহু পরে সেইদিন -
বিচারে ফাঁসির আদেশ,জনসমাবেশ
উপবিষ্ট আসামী দুষ্কৃতী সেই আফিস কর্তার ছেলে
আর ব্যারিস্টার সিটে সেদিনের মার খাওয়া
সেই দরিদ্র ছেলেটি।