ঘুম ঘোরে দিয়ে যায় ডাক
সাগর জলের দিকে অথবা সন্নিহিত
-- খরস্রোতা নদীটির ভাঁটির আড়ালে
সারি সারি জোয়ার প্লাবন মেখে তরিঘরি
পাল তোলা আগাম জোয়ারে,
বুকে তার শণশণ তীরের আওয়াজ
ঘন মেয়ে ছেয়ে কুজ্ঝটি বন্যা আমন্ত্রণ--
ঘর যার ছেয়েছে শৈবাল
আজ হতে কতযুগ বিপন্ন সংহার
একলা যুবতী লাল টিপ, শাড়ী
ভাঙা ভাঙা আবছায়া আসে প্রায়
পরন্ত বেলায় ডাক দেয় আজও,'' ওলো ভাত যে জুড়ালো''
দিক থেকে চতুর্দিক প্রাণের আওয়াজ--
কখনো জোয়ার ভাঁটির কাছে রেখে যায় ঋণ
পথময় ছড়ানো ছিটানো রক্তমাখা ভাত
অট্ট হেসে খিল খিল বলে, ''খা -- খা পেটপুরে খা''
পথ হয়ে সম্ভাব্য সখ্যতা নেয় ধেয়ে
ভাগে ভাগ হতে হতে শাখা-প্রশাখায়
  পাখ পাখালির দুরন্ত মৈথুনে,
শাড়ীময় মেঘাচল ছড়িয়ে তুফান
--  যেন তীব্র দেয় টান--
  স্থাণ ভেঙে যায় তার
  চৈচুর কৃত্তিম প্রণয়
  বৃত্তহীন মাথা আর --
  অনন্ত লাশের সমাগম
  সবটুক স্পৃহা চেটে নেয় ওর
ও ভেবেছে পলাশ ফুটেছে বুঝি,প্রিয়ার কাজলে
-- মেঘেরা ছেয়েছে , জড়োয়া আঁচল তাই
দিয়েছে প্রচ্ছায়া বসন্তের আভরণ
  একমনে চেয়ে থাকে কৃষ্ণ চূড়ার রংয়ে
প্রিয়া তার মিশেছিল আলতো মায়ায়,
ভুল ভেবে ডাক দেয়, '' লাজবতী ওরে ''
         মেলায় পলকে।
ঘর তার জল তোলা মাটিময় পৃথিবীর ছাঁদ
টুকরো সজ্জা পাতা স্নেহ তার প্রিয়ার আঁচল
ডাক দেয় আধো ঘুমে, ডাক দেয় ঘনালে প্রমাদ--
ঘুমঘোরে দুহাত বাড়ায়ে ,'' ওরে লাজবতী , লাজবতী মেয়ে ''
           ----- মেলায় পলকে।