অস্তিত্বের মাহেন্দ্রক্ষণ
গাঢ় হয়ে থাকা মায়াজালে
একক সুবর্ণগন্ধ ছাড়া
চোখ পড়েনা,কান্না থামবে বলে
এক জৈবিক পুরোহিত পূর্তি ছিটিয়ে দেন
পাথর হয়ে ওঠা ওষ্ঠে তার
আধিপত্য বিস্তার হয়,অযান্ত্রিক স্তম্ভে তখন
শেকড়ের দখলদারি ঘাতক হয়ে ওঠে
টের পায় না কেউ !


মূর্ত সংজ্ঞার কাছে
এসে বসে স্তম্ভ, পৌরাণিক ডালপালায়
স্তূপের ঝ" ধারায় সেই সংজ্ঞা
নড়েচড়ে ওঠে
মানুষের মনে !


আত্রেয়ী তখন শেষের কোলাজে
বুলিয়ে নিচ্ছে ভিনদেশী ওডিকোলন
মুখে ওমর খৈয়াম
হ্যন্ডসেটে তার বিদায়ী সম্ভাবনা
হঠাৎ
হঠাৎই জানান দেয়__অগাধ নিস্তব্ধতা !


কে জানে কার কাছে
পড়ে থাকে উৎসর্গ, আমাদের ঔৎসুক্য জাগে
গভীর তেষ্টার কাছে একরাশ নুড়ি
থেঁতলে থাকে শুধু
তির্যক রোদ বেয়ে একদলা হেম বৈষয়িক
সূর্যাস্ত বলে যায় আলোর আকাল
ভেতরেও হেমাগ্নি জ্বলে গন্ধ ধূপ আরতিতে
সাগ্নিক একান্তের লোকজন
থিতু হয়ে থাকে একতাল পাথরের কাছে !


তবে কাকে বলে নির্নেয় জীবন
তরঙ্গের চ্ছাস্ বেয়ে সমৃদ্ধির উৎসধারায়
উর্মিলিত গুছ্ছ নরনারী
যে বলে এ মাটিতে হৃদয় ফলে না
নিরীক্ষা হোক্
শহর স্তম্ভ হলে তৃষ্ণা নামে শেকড়ের গায়ে
অবশিষ্ট রোদ তবু দু'হাত বাড়ায়
কোষ বেয়ে অন্তর্বতী জিভ
প্রাণঘাতী কষ্টিপাথরে
দু'প্রকার অবসাদ ফলে !


এ প্রক্রিয়া অজ্ঞাত নয় তথাপি বিভ্রাট
প্রনেতার হৃদভান্ডে এ মোক্ষ নয়
এ কেবল পরাভূত স্বস্ত্যয়ন সেঁকে হনন দাখিলা
দু'হাত মুষ্টি করে তাতে
গুঁজে রাখি তামাম খনিজ
উদ্গীরনে অসহ বিচ্ছেদ
তবু অপারগ নই" ইস্তেহার দিতে
কেটে যায় গোটাতক জন্ম মৃত্যু শোক
হতাশায় নুইয়ে থাকে
পারঙ্গম বিয়োনো জীয়ন ___!