তুই যার জন্য এসেছিলি
বরমাল্য নিয়ে, যুদ্ধ শেষের
ভস্মে কেবল নাভি অস্থি
শেষ চ্যাপ্টারের লেলিন
বড় ব্যস্ত এ পর্ব নিয়ে
ঘরে যে তার
মৃত শিবিরের দশ দশটি কঙ্কাল
সাদরে খুব বেছে বুঝে রাখা
হৃদকন্দের গুপ্তকক্ষে
কোনদিন,কোথাও তোর সন্ধি ছিল বোধয় !


খুব যত্নে মা' ই রেখেছিল
ভূষো লন্ঠনটির পাশে আস্তে সযত্নে
মা দেখেছিল' গুঁড়ি মেরে হানা দিচ্ছে
ভরন্ত রৌদ্র তাতে সবুজাভ তুই
কান পেঁচিয়ে বেড়ে উঠছে
লতা বেষ্টনী, আড়ালে মৃদু টোকা
ইশারায় মৌন সম্মতি ,দগদগে মাথা ছেড়ে যাচ্ছে
তোর দশ প্রজন্মের জ্ঞাতি !


ওদের আঁচলতলে সেই অপূর্ব আলো
বিষাদগ্রস্ত মা ' তুলে রাখল ধুনুচ ধোঁওয়ার
ভদ্রাসন। খসে পড়ল মধ্যমার বিগ্রহ
আম্রকু‌ঞ্জে বিদ্ধস্ত তল্লাশি - নাহ্ নেই ,নেই
মেহেরকুঞ্জের সেই কথা দেওয়া দৈবারিক -


আর প্রত্ত্ন কাঁধে নিয়ে দৌড় করাচ্ছে
গত হয়ে যাওয়া মায়ের বিচ্ছিন্ন হারের
কোলাজ , বিদ্ধংসী ধ্বংসস্তূপে বিচ্ছিন্ন হয়ে একা
কাঁদছিস তুই পলাতক সব !
খসখস পরিক্রমা লিখছে বিদেহী বিচারক
নিরীক্ষণ শেষে দেখলেন
তোর একরাশ অশ্রুকণায়
কি প্রগলভ্ ওঠা বসা মায়ের!