মেয়ে দ্যাখে আগুন ফলেছে
প্রয়াগের গনগনে তাপে
রুটি,রুজি কবেকার লীলা
পূর্তি ছেড়ে মনুদের মাপে।
এত খাটো বৈভবী পটে
ধীরে ধোওয়া ধুনুচির নাচে
চুপে তবু বসেছেন ঈশ্বর?
নিরবধী জমিজমা ছুঁয়ে
আজীবন দাবড়ানো মাঠে
অজীর্ণ ভূষেরা হাটে শুয়ে।


কাকে দিবি, কত দিবি
শূণ্যের ভাগ ?
ঐ ক্ষেতে অজীর্ণ ফসলে
মিশে আছে কাল্
যুগ যুগ অগ্রাহ্যে
অপুষ্ট দাবানল।
ছায়া মুখে নীরবতা তবু
প্রসাদের বাটি,ঘটি
কোনমতে ছুঁয়ে গেল কেশে
নিরানন্দ কঙ্কাল,করোটি।


মেয়েদের ক্রমান্বয়ী মন
মিলে মিশে
চাতালে ঠেকেছে
কারা তবু কি যেন সেজেছে
অপরাহ্নে রোদেলা সিঁন্দুর।


ভাগ বসে শ্রেণীদ্বন্দ ঘিরে
উঠে আসে বিমূর্ত কাল্
দধিচী মেলান সুখে
ভোগের কলামে
আধখাওয়া লাঙলের ফাল্।


মেয়েরা বয়েই চলে
বয়ে তবু চলে
তথাপি বন্যা আসে তুঙ্গভদ্রা ঘিরে
ফেলে যায় দ্রোহে অবনত
রেবতী,কৃত্তিকার লাশ্ ।


দলবদ্ধ মানুষের লাশে
অহেতু প্রলাপ গড়িমসী
মনুষ্য খুঁজে ফেরে মন
মান হারা মানবীর পাশে।


কে বলেছে দ্বিধা,দ্বন্দ,ভয়
আনো ধরে কাটাকুটি বেলা
এক ঘরে শূণ্য ঠেকালে
অন্যটায় ভবিতব্য খেলা।


চুপে মেয়ে মায়েদের
দেখে ফেলে শোক্
প্রতি পটে প্রতিটা আসনে
নর্মাণ ঝালরে
আড়ালে দক্ষিণা নেন


প্রতি দুঃখ,শোক।