প্রতিদিন ভোর হয় চুলা জ্বলে মোতিয়ার,
মধ্যের ঘরটা ছাড়িয়ে গোল ধূয়া কুন্ডলী-
ওই শিরীশ গাছ জড়িয়ে-পেঁচিয়ে
চলাচল রুদ্ধ করে নীরব ছবি আঁকে রোজ---

ঠিক্ যখন আমি একটু একটু পেগ গিলতে শিখি-
ওভাল্ গ্লাসের রঙীণ পানীয় আর নিস্তব্ধের ঢেঁকুরে-
স্প্যাইনাল কর্ডের উপশিরা, কিডনি,হার্টের-
অবস্হান্তর ঘটে যায় একরাশ বিবমিসার বাথরুম্।ওর মরদের মতো অনেকটা----
জানি আমি একটু বাদেই-
ওর ধার করা শুরু হবে--কত অছিলার--।

কালও ক্ষিপ্ত স্বর কানে এসেছিল---" ইতনা ভূখ্,মিটা লে
                     মুঝে খা কে,কমবক্ত কহিকা,
            শালা যব দেখো ভূখ অর ভূখ্,পি মেরা খুন,--"!!


লকআউট প্রায় মাসছয়-
বুকে হাপরের রাশ শ্লেষ্মারা কড়া নারে
গুজবের উড়াউড়ি--


টেনে শ্বাস নিই এভাবেই মোতিয়ার চুলা জ্বলে-
ঘর জুরে আঁকাবাঁকা স্বপ্ন রঙীণ
অলি-গলি,বাড়ী,ফ্ল্যাট
মকবুল ফিদাদের দেশ-
মোতিয়া--
তিন শিশু দায়,আগুন- চাল,ডাল,তেল নুন,শাকসহ
ধার করা স্বাধীনতা।
নবজাত পেগের আস্বাদ ছোঁয়,নষ্টা মহিলা।  
  
আমার ভাঁড়ার ঘরে পদচিহ্নগুলো
মোতিয়ার চুলার আগুনে ভাত চড়া গন্ধে বিভোর
ওর মরদের ঘামে মেশা প্রতিদিন-
তেলে জলে মি্শ্রণ কিঞ্চিৎ ,ফিসফাস্----
বত্রিশ পাঁটি হাসি মরদের।


পেগের গ্লাসে বেড়ে যাওয়া তুমি,বড় হও আরো ব্রান্ডেড্-
আরো দামী--আমি আর মোতিয়ার-
                             --নষ্ট সংসার।


মোতিয়া গেলে মরদের সোয়াস্তির ভাত
বুকে বাড়ে লক্ষ হাপর
আহা সুন্দর!!