প্রতিদিন আসে দীর্ঘশ্বাসে কাহিনী শুনিয়ে যায়
জাগো সখা দিনলিপি লেখ সময় অপেক্ষায়।
বসন্ত চুপে অশ্রুর কানে গীতলেখা গেছে রেখে
কৃষ্ণচূড়ায় অথৈ ফাগুন ঢেকে তাই অবেলাতে।
ঝড় হয়ে গেছে মৃদু সম্মতি কালো মেঘ দুরাশায়
ঝড়া পাতাদের গোপন বেদন রোদন শুনিয়ে যায়।
কত মাটি ছিল আগ্নেয় স্তূপে বিষোদ্গারের বিষে
ছারখার হল  প্রেমহীন শোধ অন্ধ আবেগে মিশে।


আবারো তারারা ভরায় আকাশ নূতন প্রত্যাশাতে
শুকনো পাতার নিঃঝুম গান আগামীর চেতনাতে।
পথে মিশে যায় শত কোলাহল জীবনের চেতনা
ছন্দ , শ্লোকের মালারা কুড়ায় কাব্যের প্রেরণা ।
আবারো আঁধার ঢাকে দুরাচার দিনান্তে রেখে ছাপ
নব বিশ্বাসে ফুটায় আলোক মায়া ভেবে অপলাপ।
বর্ষা দিয়েছে জীবনের প্রাণ মোহ ভরা পেয়ালায়
তোমার আঙিণা ছেয়ে শত কুড়ি শৌর্য অপেক্ষায়।


রাত্রি রেখেছে দুরাশার ঘর কাঙাল ভিতের বাধ
শুয়ে থাকে কত যাতনার ক্ষত বিষাক্ত অপরাধ।
মিলায় প্রাতের দুর্বিপাকে স্রোতে বিলায়ে যায়
আবারো গৃহের খোলা রয় দ্বার রাত্রি অপেক্ষায়।
কাহিনী যা ছিল সংসার মিলে হাস্যখোরাক গুলো
শত বসন্ত পাড়ি দিল দূর চখাচখী কথা হলো।
ক্ষেত ভরা ঋণ হাসি কার দিন ভরায় অহংকার
কার ঘরে জ্বলে শান্তি প্রদীপ নীরব অলংকার।


প্রতিদিন ভাসে চুপে নির্জণে আঁধার আলো ভেলা
দোলায় জীবন কতনা ছন্দে কত সাজ অবহেলা।
জাগো সখা আনো রঙীণ ছন্দ আগাম দিনের সাজ
আবারো আকাশ ভরাও সাদরে অকাতর কারুকাজ।