শহীদ ক্ষুদিরাম স্মরণে.........I


ওই ফাটলের মুখ হাজার বছরের সৌন্দর্য্য
কোটি বছরের নিঁপুন ভাস্কর্য্য
যুগ বদলের মলিন বিষন্নতা আজ
ওইখানে আমি রেখেছিলাম
প্রথম মুগ্ধতা,ওই আধভাঙা ওষ্ঠ চিবুক
প্রথম জোয়ার সেইখানে
ভেঙেছি প্রথম যৌবন , আঁকাবাঁকা
পথ ছুঁয়ে সটান দাঁড়িয়েছি
নিষেক স্বর্গে , যেইখানে বিভেদের তূণে
বিঁধে আছে সভ্যতার পরম্পরা I
রংচটা বিবর্ণ গালে লিখেছিলাম
রুপ রস গন্ধের আশ্চর্য বায়োগ্রাফি
শৃঙ্খলিত জীবনের রুদ্ধ ইতিহাস I
অস্তিত্বের বেড়ি বেয়ে চতুর্দিকে
সেই অত্যাশ্চর্য প্রত্নে বিভোর I
পাশ্চাত্ত্যের দেহে বেঁধা বিরুদ্ধতার কামড়
উপড়ে ফেলেছে লজ্জার কোহিনূর
প্রজ্জলিত সৌষ্টব ঘিরে
বয়ে চলেছে যুগ বদলের একেক সন্ধিক্ষণ
যেখানে আমার প্রথম ছায়া এসে পরত
ডান অলিন্দের নোনা গালটায় I
অস্তিত্ব থামিয়ে রাখা হয়েছে তোমায়
পরাধীনতার আগ্রাসী রণাঙ্গনে
গলায় পরানো হয়েছে লক্ষ বছরের
কাঁটাতারের শৃঙ্খল
এক একটি ফাটলে এক একটি জন্মান্তর
কামড়ে ধরেছে চৈতন্য
অর্ধভুক্ আর বিমূর্ত প্রণয়ে বিদ্ধস্ত তোমার
চতুর্দিক আজ ভয়ার্ত কোলাহলের
বিমিশ্র রুদ্ধশ্বাস I
অথচ প্রথম শৈল্পীক আদল
ছিল আমারই I
লজ্জাবস্ত্র ছিড়েছে বিভেদকামীর দল
ঠিকরে উঠেছে প্রজন্মের ক্ষুধা
রক্তাক্ত সীমান্তে লক্ষ নখরের আঁচড় কামড়
অস্তিত্বে বিঁধে আছে চক্রান্তের বিষতূণ
অলক্ষ্যে মনিষীর ভীড়ে আমিও নিমগ্ন ছিলাম
বিবর্তনের কাঙ্খিত প্রহরে I
একেক বলিরেখা থিতু হয়ে আছে
এক একটি পরমার্থের নিরপেক্ষ বৃত্তান্তে
আমারই কোমলতা ছুঁয়েছিল প্রথম
সৌষ্ঠব যেদিন I
ঐ বিমিশ্র মুখ অযুত বছরের কারুময়
শূলবিদ্ধ জিভের পরাধীন শৃঙ্খল
সময়ের উল্কির কারুময়
লৌহ মূর্তি এসে দাঁড়িয়ে সম্মুখে
ঠিক ওই শহীদের মতো I