কবিতাঃ নৈবেদ্য


কি করি বলতো?
চতুর্দিকে যুপকাষ্ঠের যজ্ঞে
চলছে পুষ্প নিধন
ধ্বংসাবশেষ থেকে উঠে আসছে
প্রতিমূর্তির উচ্চারিত আর্তস্বর
চোখ রেখে দেখলাম
আমারই কবন্ধের কালান্তর থেকে
খসে পড়া একদলা ধ্বংসস্তূপে
ভর করে আছে নিশ্চিহ্ন হয়ে যাওয়া
প্রেমের আশ্চর্য পাপড়িগুলো
তাতে ক্ষয় ক্ষতির অজস্র দাগছোপ
সৌন্দর্যে্ জমেছে জাগতিক ধূলা
মিলিয়ে দেবার মত উপাদান নেই আর !


আত্মস্থল থেকে উঠে আসছে কর্ষণ স্পৃহা
ও এখন একদলা অস্তিত্ব
ছাড়া কিছুই নয়
ফুলদানিটা থাকল মনুষ্যত্বের প্রতীক হয়ে
তাতে শুধু প্রতিমূর্তির কৌতুক
কারুকে করে চলেছে প্রবঞ্চনা !


আমি একগোছা জীবন্ত বৃন্ত নিলাম
তাতে একে একে কালের পাপড়ি
এক একটা সম্মোহনে ফুটে উঠল অসংখ্য কুড়ি
রসে গন্ধে বিভোর বৃন্তে
রৌদ্র এল ছায়ার অকৃত্তিম অবস্থান নিয়ে
দেখলাম পাপড়ির বিনিময়ে
প্রস্ফুটিত জীবন আমার কবন্ধে ফুটেছে
গোলাপের প্রতিমূর্তি হয়ে
আশ্চর্য রূপ রস গন্ধে
মানুষ হয়ে আমি ওর মূর্ছণা নেবনা ?
নেব না?