এক পূর্নাবয়ব পুরুষের কাছে ছিল আমার শেষ আহ্বান
বুঝিনি পাপী ছিলাম কি না,যখন নিঃস্বরণ আমার তট ছুঁত-
আবিষ্কার করতাম তাকে, সুললিত ঝংকারে বিদেহী হৃদয়
বড় কাতর হত, মনে হত স্বর্গ ফেরত মসিহা পয়গম্বর
স্বয়ং মর্ত্যাগমন,নিজেকে সেই সাজ পড়িয়েছি তাও-
উদ্যানময় অজন্তা,ইলোরার লীলায়িত ভ্রু কুঞ্চণ,ছন্দ ভঙ্গী
মাতাল পুরুষেরা শবায়িত চটচটে তরলে ছন্দোবন্দী বেশ ।
আমি তীর্থের পদাতিক নিয়ে বালুকার তপ্ত মরুর বুক-
হেঁকে গেছি কত ভবিষ্যত্,রাতের অধরে কতবার নিঃস্ব-
উচ্চারণে ডেকেছি তীব্র ব্যাথাতুর,নষ্ট আর্তনাদ বালিশের খাঁজে ,
অতঃপর দাউ দাউ আগুন জ্বেলেছি সাক্ষ্য বিবাদে,কতবার-
রক্তাক্ত হোঁচট গতিহীন হেঁটেছি প্রলাপ সেই পুরুষের পথ ।
কত ভুল সঞ্চয় হল,কত প্রতিবাদ,কেউ বুঝেছিল বুঝি-
আমি নিঃস্ব প্রদাহ গরল রেখেছি কোথাও দোষারোপ ভরা,
কোথাও ফেলিনি অবক্ষয়,তখনও দৃশ্যে অবিকল মিল্
সেইদিন ভরা পূর্ণিমায় সেই বিভঙ্গ অঙ্গ অজন্তা,ইলোরা
সাক্ষ্য দিল শেষ পরিণাম,সেই মগ্ন পুরুষ দেখি তার-
           অধরের তিল ছুঁয়ে করেছে শপথ..
               আমায় লিখে দিও পাপ।