যেও না রজনী কহিব সজনী    কত না প্রাণের কথা
                     কত হিঁয়া আকূলতা
রেখেছি যতনে ব্যাথিত-          বেদনে তোমার কারণে
                   এ শহর ব্যাকূলতা ।
প্রবাসী যদিও ভালোবাসা নিও    রিক্ত প্রাণের মাঝে
                      ক্ষুদ্র আশীষ দিও।
জীবন বুনেছি ক্ষয়-অবক্ষয়         ক্ষীণ হওয়া কত দুরাশা
                     তবু,ভক্তি প্রণাম নিও।
দেখেছি তোমায় অজেয়-           হৃদয় ভারতীয় নারী
                         মৃত্যু সন্ধিক্ষণে
তুমিই শেখালে নব জাগরণ         বন্দিত দরবারে
                        দুরুহ জীবন ক্ষণে।
শমন যখনি দিয়েছিল ঘাৎ          তোমাতেই দেখে
                            মুক্ত প্রভাত
সেলাম করেছি শত সহস্র           দুর্বিসহ সন্ত্রাস বহে-
                         হতাশায় প্রাণপাত্।
পারিনি দ্বিধায় শত সংশয়          রুখিতে যাদের হায়!
                      অক্ষম এই রাখিনু হৃদয়
তোমার সকাশে বিঘ্ন বাতাসে       অভিযোগ রাখি তাই
                      দিয়ে যাও বরাভয়।
হোরো ও রজনী দিবস যামিনী        থামো একবার থামো
                        এই ধরাতলে নামো
      রেখে যাও ছাপ্                       নগরী ভূ-ভাগ
                         স্বচ্ছ চেতনা আনো
চুপে রাখি বলে নর ও নারীরে         পৃথক মেনেছে
                          এই প্রগতির দ্বারে
রাখেনি কোন অজুহাত                 জেনে যাও সংবাদ
                        দ্বিধায় নির্বিচারে।
আরো আছে কথা                      কালের বারতা
                     যেওনা এখনি ফিরে
সবে তো এসেছো                  ও আঁধার রোসো
                  আকাশ হেরো সজনীরে।
ও শহর বলো যেওনা এভাবে      সবটুক ব্যাথা শুনে
                       সব প্রাণভয় দেখে
মুখগুলি সব ফ্যাকাশে কৃশ         তোমাপানে আছে চেয়ে
                    কত আশা বুকে রেখে।
না বলিও কোন নিন্দা মন্দ            ব্যাথাতুর এ পরাণে
                    নিভেছে পরাণ আলো
এসেছো যদিও যাও কথা দিয়ে      পুনঃ আসিয়ো হেথা
                    আশায় ভুবন জ্বালো।