আঁধার নেমে চতুর্দিকে নেভে আলোর ভুবন
সব কোলাহল ক্ষান্ত হয়ে স্তব্ধ শহর জীবন
চার দেওয়ালে মগ্ন মানুষ আপন গন্ডীটাতে
একলা লাগে বড্ড মাগো ভুবন বেলাতটে।


ছোট্টবেলার খামখেয়ালে রাগ হলে মা হেসে
মান ভাঙাতি কি সেই যাদু স্নিগ্ধ ভালোবেসে
  দুষ্টুমি মা,আঘাত কত,কত অবাধ্যতা
  মৃদু তিরস্কারে সবই সামাল্ প্রসন্নতা।


মাঝ আঁধারে মৃতের ভুবন স্তব্ধ জেগে থাকা
ভাল্লাগে না তোর কথা মা ভাবছি বসে একা
জীবন জুড়ে ছল্ রচেছে ছলের পারাপার
মেকী জীবন জুড়ে হলো ভরং দুরাচার।
  
যেদিকে যাই যে জন্ শুধাই ভ্রান্তি নামে মন্
কোন্ পাবনের অলস ধারা রাখলি অকিঞ্চণ।
বল্ মা ওরে কেমন করে চলব ধরাভূম্?
পথ্ জানিনে আঁধার নামে চিত্ত যে শঙ্কুল।


ছেলে বেলায় হাত্ ঘুরিয়ে নাড়ু দিতিস্ হেসে
দুঃখ পেলে বুক মাঁঝারে শান্তি ভালোবেসে।
ভেবেই নে তুই সেই খুকীটাআজও আছে তোর্
শেষের ভাঁটি বন্ধ হলে ভীরবে সে বন্দর।


জগৎ জুড়ে চলছে প্রবল পারাপারের বেলা
আসা-যাওয়া পথের ধারে জমছে অবহেলা।
সব ফেলেছি নিত্য পথে ময়লা মিছের বোঝা
যেই চলেছি সুষ্ট মতে বাড়ল অকূল সাজা।


আঁধার আলো,আঁধার কালো,আঁধার চতুর্দিক
আলো ছাঁয়ায় কিম্ভূত্ সেই পায়রা ডাঙার ভিত্।
চলতেছিলাম কোনমতে আঁধারগুলো ঠেলে
বন্ধ হল পথের দায়ও বিপন্নতার দলে।


মুটের বোঁঝা,দিচ্ছে সাজা মাথায় প্রবল্ চাপ্
ঘুরছে মাথা,চোখের পাতা শ্রান্ত হয়ে যাক্।
আমার চেয়ে বোঝা ভারী পাষাণ মানুষ জন
আয় না মাগো ছোট্টবেলার সেই সোহাগী মন্।

দে না বোঝা হালকা করে হচ্ছে ভীষণ পিড়া
স্বজনবাসীর আঁধার মনে তোল্ জাগিয়ে শিরা।
বদ্ধ জনে ঢাল্ মা প্রবল্ জোয়ার জীবন ঢেউ
আঁধার ঘোঁচা চক্ষুষ্মাণের ঘাত্-প্রতিঘাত্ সেই।