ওরে , কে রেখেছিস্ আপন সে ঘর হৃদয় অবসর্?
ক্লান্ত আমি শ্রান্ত বড়ো ভবের মাঝে দিন ফুরালো
ফুরিয়ে এলো দিন শেষের এই ব্যাস্ত চরাচর্।


সঁই , মিতেলি ,গাছ-গাছালি আপন বড় ছিল!
পথের দুধার ছড়িয়ে আঁধার আঁচল পেতে দিল!!


কে বেঁধেছিস সে গেহ মোর কে রেখেছিস মোহ্?
পথের আগল কে গড়েছিস্ ক্ষণেক মায়ায় কেহ?
শেষ বেলাকার অকূল জোয়ার কে এনেছিস্ স্নেহ?


ওরে আপন ওরে স্বজন,ওহে কালের কলরব?
নিত্য ছিল চলার মাঝে আকূল দিনের স্তব্?


কোথায় আছো সত্য সুজন , কোথা সে অন্তর?
অবক্ষয়ের রাস্তা জুড়ে কে রেখেছিস্ আলো?
কে রয়েছিস্ সে ঘর বেঁধে নিত্য আপন-পর?


কে জুড়েছিস্ ভাঙা হৃদয় কে তুলেছিস্ ঢেউ?
পরাণটারে স্নেহের ছাঁয়ায় আনলি তোরা কেউ?


সীমান্ত পথ্ পারের শেষে বিষাদ ছেঁয়ে আসে
দূর সীমানা ছায়ায় ঘেড়া পটের সে ক্যানভাসে।


ছিঁড়ব এবার সে তারগুলো পেছন ফেরার টান
ভাঙব দিনের অহংগুলো খুব জমানো মন্
নামব নিচে বিষাদ জলের পাঁকের সরঞ্জাম।


বিশ্ব-ত্রাতার মহান্ হৃদয় মন্ মানুষের ঠাঁই
"ভালো বাসা" আছে কিন্তু "ভালোবাসা" নাই।


দিন ফুরালে সাঁঝের কালে কোন্ সে প্রিয় মুখ্?
আঁধার ,দহন,বিষাদ কালে কোথা সে সম্মুখ।
কার হাতে আর রাত প্রহরে মাথায় সোহাগ সুখ!!


এলিয়ে কথা সুপ্ত ব্যাথা কে খুলেছো দুয়ার!
দারুণ গ্রীষ্ম দহন তাপে কোন্ তাপিত প্রহর?


কোথায় স্বস্তি ,শান্তি কোথায়, কোথায় সে বিশ্রাম?
কে পেতেছো দু চার প্রহর সময় জুড়াবার-
শান্তি সে আশ্রম , ওরে কোথায় সে ভুবন?


হোঁচট এল, চলতে পথে যাযাবরের বেশে
রেখেছিলাম সিন্ধুতে মন্ ডুব সাঁতারের দেশে।


সোনা-চাঁদি ,ডলার বাদে, বন্ধু পেলাম শত!
বন্ধু হাতের স্নিগ্ধ ছোঁয়ায় আশার প্রসন্নতা,
ফিরছি পেছন স্মৃতির ডালা, ভাঙছে  স্বপ্ন যত।


পথের দুধার ছিন্ন হতাশ দুপায়ে মারিও জনতা!
সাধের ভুবন কার্বাইড জ্বলে অকাল বোধন হলে-
সবিতা তুমি কি শ্বাস নেবে এই বিষাক্ত রিক্ততা?


বড় জ্বালাময় বিষ বাণগুলো ছেয়ে গেছে বায়ুময়!
ঘোচাবে কে আজ রিক্ত বিষাদ, রয়েছো কে দয়াময়??


                          
                         -সমাপ্ত-


রাত্র-১২-৩০(মধ্যরাত)