তোমার চলে যাওয়া দেখতে চাইনা কোনমতে
বুকের নিবিড় সঞ্চিত কিছু রয়েছে  একান্তে,
লোকালয় থেকে সরিয়ে রেখেছি অকাতর অভিমান
পুঞ্জিত মনে সঞ্চিত বুকে এই হৃদয় সরঞ্জাম ।
বহুকাল জমা প্রাণের মাধুরী গোপন কৃতাঞ্জলি
জানিনা কেন যে সরাতে পারিনা বিগত প্রহরগুলি।
বেশ থাকি ভুলে পিছনে অকূলে ঢেকে দেই অযথা
তারা উচাটন্ মানে না বারণ টেনে ধরে রাখে সহসা।
যদি ভালোবাসি কোর হাসাহাসি পাপী বলে দিও গাল্
পারি না ফেরাতে দুঃস্থ আঘাতে প্রতিদান রেখো সম্বল।
ফিরে গেলে চলি,আঁখি ফিরাইলে বলি , না না না
হয়নি সময়,এখনো বন্ধু,এখনি বিদায় চেও না।
আঁখি জলে ভরে রেখেছি সাদরে বন্ধু স্নেহের হাত
আছে জানি তায় তবু নির্ভয় কোমল পরশ সাথ্।
আঁধার নিবিড়,তমসা গভীর ছেঁয়ে যায় কভু দুর্যোগ
ঝঞ্ঝায় ভরে জীবন প্রহরে এভাবেই থেকো বান্ধব।
গভীর তুফান প্রলয় নিশান, ডোবে তরী বিষে হলাহল্
থেকো তুমি তীরে অবিচল্ ভীড়ে নিশ্চিত্ দিও মনোবল্।
জনমের সাথী আমরা অরথী ইতিহাস হবো কোনদিন্
জানাবো সবারে বন্ধু দোঁহারে একত্রে সবো প্রতিঋণ
থাকি বা না থাকি লোকগাঁথা হবো মুখে রবে কত জটলা
যেতে দিব না গো মরণের পাশে রেখে দিব সেই না বলা।
যুগে যুগে রবো আমরা ভরাবো বন্ধুতত্ত্ব কাহিনী
ইতিহাস হবো,হবো ইতিহাস ভালোবাসা চির জীবনী।


                       (২)


পলাশ ফুটেছে অঙ্গনে কত প্রাগ্ মধু আহরেন
দিকে দিকে আজ ভাসে উচ্ছাস্ উচ্ছ্বল প্রাণ-মন্।
অলিদের কত গুনগুন রব হৃদয় আকূল হলো
আসা-যাওয়া শুধু সারাবেলা,প্রেম কুড়াবার খেলা।
উড়ছে রেণুর সুগন্ধ ঘ্রাণ মন যে মাতাল হলো
ওগো কোথা সাথী,পাশে এসো হেরি এ বসন্ত বেলা।
দোঁহে মিলে গাই মিলন সেতার প্রাণ মিলনের খেলা।
কত প্রাণ আছে,আছে কত গান,কত রঙ-রস্ ভরপুর
গানের শরীরে বসাবো নিঁখুত চুনী-পান্নার আলচূর।
মেঘের প্লাবন এঁকে দেবো,দেবো প্রানের উজান ঢেউ
সুরের দেওয়ালে রেখে দেবো সেই মন্ ফাগুয়ার গেয়।
আপনার ঢোল আপনি পিটাবো অন্য উপায় নহিলে
দাওয়াত্ টা দিলে যশের খাতাতে প্রসাদী ও ফুলে-
দিব রেখে তার যাতনা । সুবাসে ভরাবো পলাশ আঁতর,-
কহো যদি তব বাসনা । নীরবে ভরাবো শূণ্য প্রহর ,
ব্যথিতের জ্বালা , শ্লেষের বিদার , মেলে যদি ঘৃণা , থুত্কার।