এলে কতদিন যেন গো রঙীঁণ জোয়ার প্রেমের ঢেউ,
হৃদয় নিবিড় লিখে দিলে বীর্' প্রেম 'নামখানি কেউ।
এল প্রেম এল জোয়ার সহসা প্লাবন বিনা বরিষণ
আলোতে ফলিল শতেক ফুলেল্ সুবাসিত নব আঘ্রাণ।
মনের গহীন চির অমলিন্ উদ্বেল ঢেউ সতেজ নবীন
টানে ছায়াটিরে উঠায়-নামায়,হাসি-কান্নার ছবি মসৃণ-
ছড়ায় জোয়ার উদার বওয়ার ভাসায়,হাঁসায় আমিরে
করি নাই যাহা ক্ষণেকে ফুরাই অমনি সিক্ত সাদরে।


ছিল বাসি হয়ে পথ পাশে রয়ে হেলায় লুটানো মালায়
কে যেন আদরে নিল তারে গলে দিল প্রেম তাহে সহৃদয়।
কত জন গেছে কত পায়ে ঠেলে এসে কেহ কেন সহসায়
সস্নেহে তখনি তুলে মালাখানি প্রাণ ভরে অনু-কম্পায়।


দেবতারা হাসে বৃষ্টি সকাশে রাশি ফুল ঝড়ে আশীষে
পদাতিক অতি সলাজ মূরতি আঁখিজলে ভাসে সকাশে।
ফুল বলে ওহে প্রেমিক সুজন ধন্য যে আমি তোমাতে
বাসি বলে জলে, ফেলিছে ভূতলে রাশি জনতার পথে-
এলে তুমি ওহে , প্রেমিক শুনহে ,ধন্য যে আমি তোমাতে
দেবতার বরে চিরকাল তরে আসিবে তুমি এ ধরাতে।


স্নেহের পরশ হেরি অবকাশ প্রেমিক হৃদয় আধার
নবঘ্রাণ জাগে সংসার ভবে ফোটে ফুল তবু নিরাশার।
একের আদলে সকলে মেলায় আপন জনের রব্
হেসে-খেলে ওঠে সে জীবন সবে নব উদ্যম কলরব।


চলে যায় ফুল,ঝড়ে যায় যবে ছিন্ন শাখার দায়
জীবনের তরে সুরভে, আঁতরে, ঘ্রাণ খানি দিয়ে যায়।
পাছে আসে তার কুঁড়ির বাহার সমদর্শিতা লয়ে
আ-জীবন তরে ঘ্রাণ বিলাবারে মেলায় জীবন দিয়ে।


তোমরা তাহার সৌরভ নিয়ে যশে ভরে নিজ্ পরিসর্
ফেলে দাও তারে অবহেলা ভরে নারী প্রজাতির সংসার।
সংসার হাসে তীব্র রোষে তোমাদের হেলা প্রগতির
মুঠো ঘ্রাণ হয়ে লুটায় বিষাদে হেলা ভরে শুধু নিয়তির।