জানো, সেই সরষে ফুলের ক্ষেতে চরূইভাতির ছলে,
আমরা কজন, ছন্নছাড়া পাগলপাড়া,উদাস বাতাস দেশে
      দিনের শেষে নির্নিমেশে দিগন্তে কলরোল
ফুলের রেণু গায়ে, ছুটছি,থামছি,উঠছি হাওয়ায় ভেসে
        পড়ছি, ছাড়ছি গলা, উন্মাদনার রেশে।
   দিগন্তে হাসি রাশি সরষে হলুদ মাতাল আলো-
ঝিম্ ধরালো যেন, ধূ ধূ হলুদ গ্রাম কজন উতল প্রাণ
ফিসফিসিয়ে বলল যেন, চুড়িদারেই ভালো,আমার শাড়ী ছিল
চলছে ওরা বেগে অযথা আনমনে, কে যে আঁচল ধরে
           টানল হঠাত্ ঝিম্ ধরেছে প্রাণে।
হঠাৎ রাশি প্রজাপতি রঙীণ সারাবেলা বিলিয়ে দিল প্রেম-
   তখন আমি ঢিঁবেয়, ঝিম ধরেছে চলায় ,বলায় মুখে
উড়ছে ওরা নাকে ,মুখে,চোখে,গালে,ঠোঁটে বেজায় সুখে
সাধছে যেন মেলতে পাখা , শনশনিয়ে হাওয়া খুলছে আগল
রুদ্ধ রোষে,এড়িয়ে সকল বাঁধন,আদুল খোলা ক্ষেতে হাতছানিতে-
   ডাকছে কাছে হারিয়ে যাওয়ায় মেতে,সরষে ফুলও যেন
বেজায় পাগলপারা  দুলছে মাথা বলছে নেচে আয় ,হারিয়ে যা।
    এগিয়ে গেছে অনেকটা পথ , মগ্ন আর এক চুড়িদারে
একলা পথে একলা প্রেমিক নির্জনতার সাথে, চুটিয়ে সহবাস।
        প্রজাপতির পাখা ভর করেছি হৃদয় উজার হঠাৎ
  
   সুমাল্যটা বলল উঠে, ফ্যানটাস্টিক,যাস্ট আ মিনিট দিদি,
এমন একটা পোজে, আর একবার, আর একটি বার  প্লিজ।
           প্রজাপতির দাপট তখন বেজায় সারামুখে।