লিখব যে আজ মায়ের কথা বেদন ভরা মন,নিভৃত সঙ্গোপন
হৃদয় জুড়ে ছিল তাহার সুখের ছবিখান, অজান্তে আনমন।
চলছিল সে স্বস্তি যাপন অপত্য সুখ নিয়ে, জীবন রঙ্গালয়ে
এক,দুই,তিন দিনের শেষে কাছে ঘেঁসে মায়ের,স্নেহ বয়ে ।
পেড়িয়েছি সে দিনগুলি অতীত স্মৃতির দ্বারে,আজও মন জুড়ে
আনমনে খুব বেদন হানে রোদন ওঠে জেগে,ভীষণ মনে পড়ে।
পতিহীনা  মা  আমার কষ্ট ঠেলে ঠেলে  সামলে  রাখে  বুকে
অনাথ শিশুর ভবিতব্য রোদ,ঝড়,জল রুখে, দিব্য মাথা ঠুঁকে।
না খেয়ে দিন করত যাপন দুধের যোগান দিয়ে,শ্রমের বিনিময়ে
অনাহারে ফলগুলিও ফলছিল সব,দেহের ঘরে, অসংযমী হয়ে।
বড় হয়ে হাল ধরেছি ভাই-বোনেদের কাঁধে,মায়ের আশীষ সাথে
সেবার প্রথম চাকরী পেয়ে মায়ের আশীর্ব্বাদে,তুলে নিলাম মাথে।
অনেক যতন করে যাপন, এমন মায়ের স্নেহ, লুটিয়ে দেব এহ
বাঁধবো যে তার সুখের আসন মহান শান্তি দিয়ে, সৃষ্টি সুখের গৃহ ।
সিংহাসনের যে স্থাণটিতে আরাধ্য দেব বসেন,তেমন আসন চাই
রাখবো মায়ের সেরার সে ধন জন্মভূমির ঠাঁই, যার তুলনা নাই ।
এমনি ছবি আঁকছি যখন মায়ের বেজায় পীড়া বদ্যি,হাকিম হারা
প্রবল বেগে কাঁপছে শরীর পাঁজরে জোর নাই, দীর্ঘ মেয়াদ সারা ।
এই বুঝি তার জীবন ফুরায় নিশ্বাস যখন-তখন, মা ডেকে কয়,
বিদায় এবার, এই চিরতর মায়ার ভুবন থেকে, দিলাম তুলে সে দায় ।
আঘাত এল ঘোরতর,আঁধার ঘনায় আলো, মাগো এই কি সময় হল?
সবেতো মা প্রাণ পেয়েছি তোমার আশীষ নিয়ে,কত স্বপ্ন, আশা ছিল
ঘুচিয়ে দেব দুরাশ যত, মুছিয়ে দেব ক্লেদ, আশীর্ব্বাদী পা দুটিরে
পূজবো ফুলে,জলে, রাখবো মাগো তোমার ভুবন এইত যতন ঘিরে ।
সময় কেন দিলে না মা ? অধম ছেলের মনে,গোপন অশ্রু বইছে চির,
মুছবে কে বা ,কে বা হবে আমার পটে,পূজার মতে সেরা অধীশ্বর।