এই দুনিয়াদারে সমঝদারের কোচিংয়ের নেই অন্ত
কাবু যে যত,যেমনটি ছুঁতো,পাঁচন আছে প্রানান্ত।
রাস্তা-ঘাটে ,ঘরের মাঠে, যত্র  যেথায়  গুণী -
জানান,সাদরে উপমিত দরে শিষ্যটি পেলে শুনি।


ওমুকের ছেলে! বেজায় মেধাবী খেলা-ধুলা,গান-টান
এমনিই শিখে সবার উপরে লেখা আছে তার নাম।
তমুক পাড়ার সেরা শিক্ষক বছর বছর সেরা ফল
ছাত্ররা সেরা চাকুরী-বাকুরী তার কোচিংয়েই সম্বল।


এই  ছেলে  ভালো বক্তৃতা দেয় সকলের  সম্মাণ
দাঁড়ালে ডায়াসে,শ্রোতারা আয়াসে,নেতাটির সন্ধাণ।
ওই দিদিমণি সুর-সুরমণি গায়কির ঢংয়ে খোলতাই
ছেড়ে দিয়ে গলা মুগ্ধ দুবেলা পরিচয় দেন গান তাই।


হপ্তায় দুই একাডেমীতেই আসা-যাওয়া যে লেখকের
জীবনানন্দ মাসে একবার প্রচারের স্টেজ উহাদের।
সিট্কোন নাক কুঞ্চিত চোখ অন্য লেখায় মতামত
নিজের রচনা সেরার সেরাটি,চাটুকারী তোষামোদ।


মিলনমেলায় আমন্ত্রণের গেস্ট কার্ড বুক পকেটে
গর্বে দেখান সে নিমন্ত্রণ কবি বটে সেই সুবাদে।
দেশে দশে তার ডাক পরে কত সেরা সব ম্যাগাজিন
রচনা যেমনই হোক ক্ষতি নেই সদস্য ফিস্ খুব দেন।


যেখানেই যাই যেমনটি পাই দুনিয়াদারের মেলায়
শেখায় সকলে শেখে কে কে জানে,শিক্ষণ অবহেলায়।
আমি কি নবিস ? কি বা নিশ্চল ? বাচস্পতির স্কন্ধে!
বাট্টার প্রতি কোথায় খামতি পাঁচন কোচিং দ্বন্দে।


বেদ,গীতা পুরো হয়নি বাওয়া বেওজর চারণিক;
রয়েছি ওজরে হয়নি নজরে বাহার দেখানো হিরিক।
বলিনি কদর হায় কত দর, কিরে! সামান্য দরাদরি,
রহিলাম পিছে দায়ভার মিছে আমিই শুধু 'আনাড়ী'??