দিগন্তের লাল পলাশ দেখে মনে পড়ে গেল-
আসছো তুমি আজ,গোল করে কলমের ঘর
তাতে তোমার নামের আদ্যাক্ষর,
চওড়া পাড়ের শাড়ীটা,ক-ত-কা-ল একসাথে হেঁটেছি
আলমারী ভাঁজে আজও সেই গন্ধটা ভাসে
বহুদিন পর আবার শাড়ীটা আমায় জড়ালো।
কেমন আছি চেয়েছ জানতে,চোখের কথা ছাড়ো
আজকাল চশমা ছাড়া সব অন্ধকার,জানো !
সেই তুমি দিয়েছিলে বিদেশী আঁতর,ক্যালেনডুলা
হয়নি ছোঁওয়া আজও,বিনী পিসী ইনিয়ে হেসেছে !
কানেও পরিনা দুল,দু জোড়াই চুরি গেছে-
হাতও ফাঁকা,তোমার দেওয়া কাঁকন জোড়া-
সেভাবেই দেরাজে,কেমন যে সং মতো লাগে-
বহুকাল প্রসাধন ছাড়াই হেঁটে যাই পথ-
যেদিন গেছ থোকা পাতায় ছিল শৈশব
আজ পলাশ সমর্পণ মেঘে মেঘে রাশি বার্তা
দোয়েলের শিষ তাই বলে গেল চুপে
গ্রামাফোনে উচ্চগ্রাম বেগম আখতার,বহুদিন পর
কথাকলি ছন্দটা রেওয়াজের ধুম,বহুদিন পর
বন্ধ্যা চোখেও কাজল প্রলেপ,আলগা গ্লস;
কপাল ছুঁয়েছে গোল বড় টিপ-বহুদিন পর
হাতে কাঁকণজোড়া,হাসবে কি বিনীপিসী আজও...??
সেই আঁতরের ঘ্রাণ ঘরময় তোমার গন্ধ,
গল্পটা শেষ হয়নি এখনও,ম্যাগাজিনে দেব;
বিছানায় খাতা, পেন, ম্যাগাজিন ছড়াছড়ি
হঠাৎ ডোর বেল,হাতে ধরা গোছা ফুল,, বুঝি----
বিনী পিসী হাসছে বেজায় মুখ চেপে...
বলল বোকা! "চা খাবি "?আমি চেয়ে আছি..
অনেকটা সময় বোকা বোকা সাজ,বহুদিন পর
সন্ধ্যা নাগাদ ফোন এল,"সরি আমার এইমাত্র-
ট্রান্সফার অর্ডার এল,যাস্ট নাউ--
কাল ভোরের ট্রেন"......দিগন্তের লাল পলাশ-
সবুজ সবুজ আলো মাখামাখি।