ভোর  হয়ে গেছে অনেকক্ষণ কিংবা আমার,বলেনি কেউ
দু একজন জগিং করে গেল দৃপ্ত চারণা,শুনছি আজান অদ্ভুত
মৃদু পদচারণায় কখন এসেছি প্রান্তের শেষে প্রভাত হয়েছে।
"খোকন রে,আলু,ধলুদের মাঠে দে কচি কচি নধর চিকণ ঘাস",
হপ্তাখানেক খইল,খড় বাড়ন্ত ছিল," বাজান,বাছাদের মাঠে দে"
চার প্রাণী আর গোটাকয় মেঠো স্বপ্ন নিয়ে আছি বড়জোর-
কয়েকটা সকাল আর নিত্য সূর্য ডোবা দিন বড় সুখী আমি-


দেখ চেয়ে সারি সারি আমি হয়ে আছি নগর, দেউল,পথ প্রান্ত
আমার স্বভাবে চোখ রেখে উঠছে সে পৃথিবীর মই,পাহাড়,ভূতল
চাবিটা নিয়েছে সরিয়ে তবুও মরিয়া চেষ্টা কিলবিল আমির
ট্রেনে,বাসে,পথ-ঘাটে আমার কথারা ঢেউ হয়ে,ঘূর্ণি হয়েছে
কয়েকটা সার্থক লোক আমার মতন এখনও ছড়িয়ে-


বাইনোকুলার নিয়ে হানা যত্র-তত্র, পৌঁছতে হবে গোটাত্রাণ।
আমার স্বপ্ন রচে বন্ধুর সুমহান হৃদয় সাজাবে দীপ্ত সকাল।


ওরা এলে দ্বারপ্রান্তে বেলাশেষ হাম্বা ডাক মায়ের তুলনা
এনেছি গুছিয়ে সব প্রান্তের যব আগামীর সুগম খাবার
ভোর লেগে থাকে বটির শব্দে জাবনা কাটার হীম চৌকিতে
খাদ্যেরা পুষ্ট করে শিশুর কদর,ভিটামিণ ডি,আবার,আবার-
জাবনার অধিকার,ঘস ঘস শ্রেণী চিরায়ত পৃথীবীর শাশ্বত-
জীবনের ভোর কারো সুখ নিদ্রা পেতে,কারো নিদ্রা শেষে-


ভোর হয়ে গেছে অনেকক্ষণ কিংবা আমায় বলেনি কেউ
"ওরে বাপ ওঠ আলু,ধলুদের মাঠে দে কচি কচি নধর চিকন..."।।