(রুপক কবিতা)


দীর্ঘ বরষ শেষে পতি মোর গৃহে ফেরে ,ওলো সই!
ডাক পাঠা জেলে পাড়া টাটকা পাবদা,শিং,তেল কই।
কে আছিস?ওরে, ঘোষ পাড়া খাঁটি দুধ,মিষ্ট,পায়েস
আনলো সবরি কলা,আম-জাম,বেদানা,আঙুর রস।
কে যাবি বাজার ওরে? লিস্টির সাথে আন্ ব্যাগ থলে
সবজির সেরা লাউ, কুমরো,পটল,মুলো বাড়ন্ত হলে-


স্বাদে সেরা  ডিশ্ কেমনে সাজাই ,আহা পতি মোর-
দীর্ঘ বরষ পর,ওলো সই! দুধ  জ্বালা  ভোগে  ক্ষীর-
মাছ পদ,  তেলে,ঝোলে,অম্বলে, মাংসের  বিরিয়ানী ,
কোরমা,পোলাও,চাটনিটা বেড়ে হবে আম ও আদানি।
ঘন্টর কেরামতি,ছেচকি,ভাজা,সাবধানে গোল্লা পাঁকাও
ফুরফুরে ভাত  দেরাদুন কিবা বাসমতি,মিষ্ট পোলাও।
প্রাতঃরাশ লুচি ফুলকো মোলাম সাথে সবজি যতেক
গোটাকয় মিষ্টি  হরেক প্রকার লাল,সাদা,কড়াপাঁক।
কেওড়ার জল রেখো মিঠা সরবত্,লেবুর সুরভি ময়
হাত পাখা ঝালরের,টেবিলটা দূরে থাক্ তৃপ্ত হৃদয়।
দেলো সই লাল পাড় চওড়া শাড়িটা,গয়না, সিঁন্দুর
জনমের পতি সেবা আছে জমা বহুকাল,অশান্ত প্রহর।


সাজা সব ঘরদোর ছিন্ন চাদর,কুশন,আন গদি সোফা
বিছানাটা পরিপাটি বাহারের কভারটা কাশ্মীরি তোফা।
ঢেলে সাজা পর্দাটা নতুন ,দামী পেন্ট,বিদেশী আঁতর
চীনা  ফুলদানী  ভর্ বেলী,যুঁই, চামেলী,রজনীগন্ধার।


পতি ভালোবাসে সাজ গিন্নীর রুপটান সুর্মা,কাজল
সেজে দে লো কবরীর মালা গেঁথে, খোপার আদল।
অভিসার হবে মোর সার্থক জনম, এই নারী সম্মাণ
ওলো, বেধে দে লো বিনোদ বেনী, খোপা প্রসাধন।


চিরসখা পতি মোর, বর্ষ বিমুখ সুখে,এসেছে বধূয়ায়
ঢেলে দে লো, যত মোর শত বরষের বিচ্ছিন্ন হৃদয়।