বর্ষা! তুমি পরিপাটি সুখ ধনীর, নিঃস্ব আমি,
চাল-চুলো সব প্রকট করেছো জানে অন্তর্যামী।
জীবন যাপন ছাড়খার সব আমি শুধু বিকিকিনি।


গত দাবদাহে স্নিগ্ধ তোমার স্মৃতি প্রত্যাশাগুলো
দাপাদাপি নিয়ে কত মুগ্ধতা অাজ সব ম্লান হলো।
তখন আমার চেতনা ভরাট পুকুর হয়েছো তুমি,
উদোম সুখেরা আমার ভুবনে এনে দিত মরশুমি।


কলেজ ফেরতা পথে তুমিই দিয়েছো  প্রেম--
সেই রাধাচূড়া গাছের নীচে,একদা নীরব ক্ষণ।
একটাই ছাতা ভেঙেছ জোয়ার জ্বেলেছো হৃদয়খানি
প্রথম অধর অবাধ্যতায় হলাম  আমি ঋণী।


তারপর কত গল্পশতক পার করে আজ সুখী
কিছুদিন ছিলে খুব প্রিয় কাছে কিছু বার্ষিকী।
প্রথম খিচুরী ইলিশের ভোগ আর উচ্চগ্রামের গান
বিছানায় খুনসুটি কত,পিয়ানোর সুর তান্
বর্ষা হলেই ,  গাইতো ভালো ও!
    খিচুরী ইলিশে প্রাণ..........,
বারান্দাতে টবেতে তোমাতে কত স্নান অবিরাম।


নিজেই কখনো বৃষ্টির ছলে নীরবে জলকাজ
আমিও তখন জল থৈ থৈ, বৃষ্টি মেয়ের সাজ----
পিউরিফাইং,বডি ফ্রেশার! ব্যাখ্যায় কারুকাজ।


এসব কথা তোমায় বলেছি শোন চুপে বৃষ্টিরা
পুরানো দিনের গল্প কথারা বেজায় ছন্নছাড়া।
আমার ছাঁদের টালির ঘরে আজ ভাঙা আসমান
ছাউনিটা গেছে দড়মা'টা কাঁপে ক্ষুয়ে কূলমান।
এমনই এক ঘোর দুর্যোগ ছিনিয়ে নিয়েছো সব্
মানসপ্রতিম, যে ছিল আমার জীবন্ত কলরব ।


সেই দু' দন্ড শান্তিরা আজ শুয়ে আছে সমাধি'তে
প্রকট করেছো ঘোর দুর্দিন বরষা'র ফাঁদ পেতে।



                 **বরষার আয়োজন**