আমার সমস্ত বোধাবোধ আজ গচ্ছিত দিলাম--
কাব্য তোমার দ্বারে,আমি সময়ের থেকে,সঞ্জাত থেকে,
দ্বন্দ থেকে,ব্যর্থতা থেকে,বঞ্চণা থেকে
উপাদেয় এনেছি বিস্তর ছড়িয়েছি রসনায়-
তুমি উদ্বেল হওনি ?? আমি অনাগত,বেদুইন হয়ে,
অ-সমাজ হয়ে তোমায় দিয়েছি ফরমাশ,সুললিত।
যেদিন তোমার কাব্য বাছাইয়ে উত্সব প্রাঙ্গণ,
ব্যর্থতা দিয়ে বঞ্চণাগুলো ঠেলে দিল দলছুট্
শেষ দেখাটুক থেমে গেল মায়ের মৃত্যুদিন,আমি কাব্যিক-
কাব্যকে দিয়ে শেষ প্রশ্রয় আমার ঠিকানা লেখা হয়ে গেল--
নিদারূন নিশ্চল প্রথাহীন। তুমিতো রেখেছ কাছে--
কাব্যরসের নির্য্যাস বড় নেশাময় আগ্রাসী ,আমি থেমে গেছি--
মজে গেছি,আমি ঝঞ্ঝায়,ঘূর্ণির পরোয়া করি নি--
আমি শিরা,উপশিরা কাব্যে দিয়েছি রসদ প্রেরণা মশগুল।
আমার মাথা খুলে রেখে ঘিলু উপরিয়ে হয়ে গেছি নিদারূন---
আমি জঠরের জ্বালা ভুলে বিছিয়েছি উদ্যান--
তোমার অঙ্গণময় উদাস লেখনী ভীড়ে আমি প্রতিকল্প
কাব্যরসের ধারা বয়ে চলি চির বেদুইন টানে।
চড়াই কোথা উতরাই পথ ধরে কখনো সঙ্গে-
বিপক্ষে তবু, মেলে অযাচিত কোথাও ভাঁটির ভাটা।
সে এক আমি, যে আমায় কাব্যে দিয়েছে পৃথিবীর-
চাবিকাঠি আমি দিনভর বয়ে চলি সম্ভার দ্যোতনা,
কোথাও নেই খামতি মানুষের সংসার উপাদেয়গুলি--
বিকি কিনি হয়,সংগ্রামগুলি,ঘটনার সংবাদ কংক্রীট ছেড়ে-
পাথর দ্বন্দে বুনে দেই বিন্যাস,আমি থাকি সুযোগের--
কাব্য অলংকার তোমায় দেবার কত আয়োজন---
আমার বোধাবোধ মিশে যায় শব্দের ভীড়ে,ওরা কথা বলে--
কান্না-হাসির,দুখঃ-সুখের,জ্বালা-যন্ত্রণা আনন্দ-পরিতাপের--
সীমাহীন----।
আজ কি ঘটনা হল ?? লিখে দিই কাব্য,
রসনা আমায় মোহিত কোর না,শুনায়োনা প্রিয় সংগীত,
ক্ষুধা আমায় প্রহার করো ,ক্লান্তি দিও না অবসাদ,
সংসার আমায় বেঁধ না নিয়মে, দূরে যাও প্রিয় সরে-।
আজ আমি আমার সব বোধাবোধ কাব্যে দিয়েছি ভরে।