মাঠ ঘাট শিশিরের আবছা আচ্ছন্নে-
ট্যারা চোখে পড়ে আছে কার বিষম উত্সুক
আমি নিয়ে দৃষ্টিসুখ প্রাণের ভেতর
ধীরে দৃশ্য থেকে প্রত্যঙ্গ,চাওয়া,পাওয়া
মিলে দিই জাগতিক শূণ্যতায়।
প্রপঞ্চময় বায়বীয় সুমধুর বাঁশরীর রুপছবি--
কাঁঠঠোকরার ঠোটে জাগতিক ক্ষুধায়-
শুক্রের জীবন দর্শণে,কেয়া পাতার উত্ফুল্লতা-
শুষ্ক ব-দ্বীপ বানে চোখের ভগ্নতা।
মিশিয়ে বোধের প্রলাপ তৈরী প্রেমের তন্ডুল
যারা খেয়েছিল অমৃতের ন্যায়
দেবতার কমন্ডলু হয়ে শ্বাস নেয় অবৈধ মজ্জায়।
যে তরুণী উর্বশ অঙ্গ ঘিরে খুলেছিল ঘামের পোষাক
পুড়ে গেল জ্যোত্স্নার কলঙ্ক গায়ে মেখে,
আমি চোখটা নিয়েছি চুপে,তাই।
প্রতি রাত দুরন্ত মনি রেখে খুঁজে যায় আমার অভ্যন্তর
আমার আদুলে রাখে তস্কর হাত
আকড়ে রেখে মৃদু বলি, এ চোখ আমার।
সেই মাঠ জমে বরফের দেশ বেদুইন ছোটাছুটি
খুনসুটি বেমালুম চোখের উত্সব
পাখি,গাছ বরফ পুতুল।
আজও আছে ফুলদানি আরও তার গভীর প্রস্রবন
তোমার সে চোখের কৌতূহল
মিলে গেছে অনেক বাহানায়,
পাহাড়,নগর,মোহনায় তুমি আর তুমি আবছায়--
পাড়ি দিয়ে সপ্তডিঙা মাধুকর--
যে মানুষ ছুঁয়েছিল দৃশ্যান্তর, মেঘ হয়ে গেছে
বেয়ে সপ্তডিঙা বৈচির গান
কষে আঁটে তীরের পারাণি মেটে বাঁশওলা
বেলা শেষে অপ্সরীর মোহন ইশারা--
সে বোধহয় ও,যে পুড়ছিল তোমাদের মোহে।
' তোমার কি প্রত্যাশিত মৈত্রী প্রস্রবন নেই'??