জলদে জাহ্নবি পুলকে প্রতিদিন ভাসায় যান যত যন্ত্রণার
পৃথিবী  অনাহূত  ধরার  ধৃষ্টতার  জীর্ণ তাপ শত মন্ত্রণার।


মধুর আলাপন বিষাদে উন্মণ ছিল  সে বিগত  দিনক্ষণ
তটিনী শ্লোকময় ছন্দে কথা কয় কৃষ্ণ  কুহেলী  আনচান।
পলকে লিখি দিল জীবন উদ্বেল রঙীণ কতকথা প্রাণভরি
জলের কম্পনে প্রেম জাগে মনে থরে সাজে প্রাণ কুঞ্জরি।
সহসা তনুশাখা প্রবল  প্রহেলিকা কৃষ্ণ তৃষ্ণার পথ  ধরি
আকূল তোলে গান প্রকৃতি শুনসান্ রাধার অঙ্গের মঞ্জরি।
ধীরে তোলে মুখ কত যে উত্সুক ডিঙার প্রেম রাত সঞ্চরি।


বায়ুর অভিমান প্রলয় কম্পন মেঘেরা মেঘ রোষ শ্লোক জোড়ে
ক্ষরণে  ক্ষরণে  প্লাবিত  ত্বরণে কৃষ্ণ  বাঁধে   ঘাট   প্রেমডোরে।
প্রলয়  নিক্কন  কন্ঠে  জরোয়ার  আবেগে  আঁচলের  বাধ  ভাঙে
কৃষ্ণ হেরি তার শরমে যেন আর উথলি প্রেম রাগ ঢেউ গাঙে।


সান্ধ্য পূবালী দিয়েছে স্নেহবাস প্রকৃতি জ্যোত্স্নার আলিঙ্গন
সাঙ্গ মধুযাম যুগলে প্রাণমন তৃপ্ত হাসি যেন  সুখ সাম্পান--
হেরিছে প্রকৃতি প্রতি উদগ্রীব্  তৃণদে  বসতি  প্রতি  চরাচর
ছবিতে বাঙ্ময় মর্ত্যে পূজা হয় হেরী প্রতিক্ষণ দোহের নির্ভর।