বেদনায় বুক বেঁধে কবি হয়ে আছি সুখে
বেশ চলি পথ-ঘাট উঁচু নাক হাকডাক্
কে যেন করেছে কবে মেধার কদর
কত কি লিখেছি রেখে ওহে সমাদর।
খ্যাতি দিয়ে যশ দিয়ে মুগ্ধ হয়ে রচি
কতজনে কতমানে প্রাজ্ঞজনার কাছাকাছি।
রাত গেছে দিন শত ভাবনা লিখেছি রঙীণ
কর্তার মুখভার ছেলেপুলে নচ্ছার আমি বেদুইন।
সব ফেলে কাম-কাজ লিখেছি ছন্দরাজ
বেলা শেষে গর্বে হেসে খাদ্যতে আন্দাজ
ভেংচায় থাল্-বাটি কর্তা যে ঝগরাটি ,কবির প্রসাদ!!
আহা কত স্বাদময় খিচুরী ও অম্লয় হল পেটে ঘাত্।
সেদিন বিকেল ঘরে পাশ বাড়ী শিশুটির হাতে দেখি বই-
দুমড়ায়-মোচড়ায়ে ছিড়ল সে পাতাকয়,ওহে আমি কই?
নাক কান মুলে তারে বুঝালেম যত্নভরে এত অবজ্ঞায়??
দেখে নিও সেইদিন সোনা রং রঙীণ,মেডেল তালিকায়-
দেবে জানি সমাদর কিছু কথা রেখো তার শব্দ সঞ্চয়
রোসো আজ কামকাজ কোথাও ধর্মাচার হানে সংশয়।
এই বলে অবিচল বাজার সমুখ পথ ছিন্ন কাগজ
আমারি এ লেখা যেন কোন পত্রিকায় হেন খোঁজ।
পদভূমে তাড়ণায় ছেঁড়া খন্ডখানি হায় তুলিলেম ধীরে
ফিরিলাম হতাশায় যেন কি বেদনায় স্তব্ধ নত শীরে।
তখনও ঘরময় কর্তার তরজার ঘড়ি ধরা কর্ম নির্বাহন
দাও কত কাজ আছে পেতেছি হৃদয় মাঝে সেবার আসন
কবি শুধু নহে খাঁটি সংসার ধর্মটি বিনিময়ে যত আয়োজন
সত্য তুমি সংসার রেখেছো যে দায়ভার এ কবির জীবন।