অবন্তি !আমার বছর পাঁচেক বিড়াল ছানা
  প্রথম যেদিন এল জোড়া দুই ভাই বোন
একজন পড়েছিল নোংরা নালায় আধমরা,
        অন্যজন পায়ে সেপ্টিক দগদগে ঘাঁ
হাসপাতাল,ওষুধে সারিয়ে নিয়েছি আপন করে
   সেই থেকে আমার নেওটা----
দোকানে,বাজারে, 'ওকি অবন্তি তুই পিছু পিছু'?
  একটাই স্থাণ ছিল বড় আপনার,সিঁড়িঘরটায়।
দুষ্ট বিড়ালের আক্রমণ,কুকুরের উত্পাত থেকে
  ছিল বেঁচে বর্তে বেশ বরাদ্দ খাবারে,
বর্ষা জলে কাদাপায় সোফা,বিছানায় কত মেরেছি ওকে
   তাড়িয়েছি কতভাবে,বলেছি 'আপদ দূর হ্"।
তবু দেখি এককোনে নড়েনি কোনমতে--
  দুই ভাইবোন মিল খুব একসাথে খাওয়া বসা সব।
  
কিছুদিন বিষন্ন ভাই চোখে জল টলটল স্থির বসে
   মনমরা খায় না,থাকে না আসে যায় চলে--
অবন্তি বুঝি আর নেই,কতদিন দেখিনি ওকে
  আমার ন্যাওটা ছিল খুব----
ডাকলেও ফিরে আসে প্রতিধ্বনী নেই, অবন্তি-
আজ তাড়ানোর উর্দ্ধে,আর হবে না বলা' দূর হ্-'
মাছওলা নেই তাড়া ওদের ছিটেফোটা---
মুক্ত করে গেছে চলে চিরদিনের মতো,
            অবন্তি আমায়,তবুতো বিড়াল জীবন মায়াময়।
                  
                     ২
সেই ধানসিঁড়ি কবিতায় পৃথিবীর খুব কাছে
জাগতিক সুখ মেখে জ্যোত্স্নার গান
শোকাতুরা ধরনীর মোহ্ ছেড়ে আরোও সুদূর
সারি ফুটে রয় যেথা নক্ষত্র উদ্বেগ
আমি তুমি লীন হয়ে আছি চিরকাল--


আমার ভূতল ঘেষে তুমি অনর্গল
কয়ে যাও কথাদের দায়,প্রতি অনন্তর
আমার জেগে থাকা নধর বিছানায়
রেখে যাও কথা খুনসুটি এপাশ ওপাশ


প্রহরের দুস্থ বিষাদে ওরা জাগে সংঘাতে
চোখে মুখে এঁকে যায় বিস্ময় সাময়িক
তুমি নও তোমার ছায়ারা আসে কতভাবে
ওঠে বসে ধানসিঁড়ি ঘেষে আলুথালু করে যায় মোহ্


দুর্বিনীত মন যদি সংশয় হয় ওরা রয় স্বপ্নীল হয়ে
আমাদের যাতনার বিষে,পরিপাটী হয়ে
ঢের বেশী নক্ষত্র পথে পরিত্রাণ তাই-
চিরকাল মিশে আছি জাগতিক ভ্রমে।