অশ্রু চোখের বন্যায় ভেসে রক্ত প্রভাত এলো
উদিত্  আপন দৃষ্টি  ধারার আগল  খুলে দিল।
পাথুরে  হৃদয় ছাপ দিয়ে  গেছে বহু কৃষ্টির কাল্
কালশিটে হাতে পরাণ মেপেছি অগনিত হলাহল।
আঁচলে জমানো কোমল উদাস গচ্ছিত  দিনগুলি
সুযোগ বুঝেই নখরে প্রবল শানিত সে গোলাগুলি।
দিনের আলোক ঢেকে দিয়ে যায় নির্বোধ সহচরী
খুনসুটি চালে সে আঁধার ঢালে নিদারুণ বিভাবরী।
কন্ঠের ভাষা  হেনে দুর্দশা  গড়ে সে  পাষাণ বেদী
ভন্ডের  আশা  পুরিছে দেবতা  চিরকাল  নিরবধি।
ক্ষত রয়ে গেছে পথের আড়ালে উদাসীন সে স্তুতি
প্রতিদিন তায়  আলো ঢেলে যায়  নির্নেয় সন্ততি।
দেখে না  আলোয় কৃপাণ সমান সমাজের উন্নতি
কিছু  ছিল তায় মাড়িয়ে দুপায় হেনেছে অবনতি।
কলমের মাঝে হেকে ডেকে যায়  বুকের সরঞ্জাম
আদতে বিকোয় পাষাণ হৃদয় খ্যাতির সে সম্মাণ।
হৃদয়ে  আমার রক্ত  ঝরেছে রক্তের  লেখা  দিনে
ডেকে গেছে কাছে ক্ষিন্ন প্রসাদে আগুন জ্বলার ঋণে।