যাকে গলিয়ে দিয়েছিলো পাহাড়টা
বলেছিলো সমতলে যা, আমার পাদদেশে।
তারপর ভাসতে ভাসতে শহর,নগর থামেনি সে
শুধু বুকে তার অজস্র ভাসমান ,কাকে নোঙর দেবে
সমতল থেকে দুদন্ড শান্তি পেতে চলে আসে জলে
আমারই মতন। অগুন্তি সভ্যতার জন্ম হয়-
সুগম হয় যোগাযোগ, এই ভেবে ভেসেছিল সে-ও
আগলেছিল শৈবাল,নুড়ি,পাথরের আর্তি
দূরে তখন সমুদ্রের ব্যপকতা অনেক বন্দর
পোতাশ্রয়ের আশায় কত হৈ চৈ প্রবঞ্চণা
তখন কবোষ্ণ উচ্চতায় পাহাড়ের আলিঙ্গণ
আর নৈসর্গিক সুখ ঝড়ণা মেঘ শাড়িময়
মাঝে ছিল নৈমিত্তিক মেঘেদের বজ্র দাপট
তবুও পাহাড় অবিচল প্রিয়া প্রেমে--
কিন্তু উষর ভূতল মানবে কেন,জল চাই অবিলম্বে
দেরী তার সয় না, হুকুম পেয়েই বিদ্ধস্ত পাহাড়টা----
ভূ-গর্ভে চলেছে আলোড়ণ, জল চাই,জল দাও।
পাহাড় সে অঞ্চলের অধিপতি ,এমন আত্মসুখ বেমানান ভেবে-
টান মেরে নিল জল রংয়া শাড়ীটা বলল ,
সমতলে যা, আজ থেকে তুই জল, মেটাবি অনেক পিপাসা
তারপর সেই ঝর্ণাটা পাহাড় হয়ে সমতল,শহর,নগর,বন্দর
বয়েই চলেছে ,শুধু বয়েই চলেছে----পায়নি কোন কূল।
কত তার মালবাহী,কত আশা পোতাশ্রয় সাগরের গ্লানি-
কত তার ভাগাভাগি কত শরিকী বাহানা , এমনই হতে হয়-
নদীর জীবন, শাখা-উপশাখা হয়ে অনন্ত সাগর-
সেই পাহাড়টা দিয়েছিল শাপ্।