তোমাকে একটা গল্প বলি , স
জানি,আজ তুমি সারত্সারের উর্দ্ধে এক অন্তর্দাহী নিরবতা।
শেষ যৌবনটুক উত্সর্গীত হল অস্তিত্বের খোঁজে,
  শিকড় টানতে টানতে কেটে গেছে বিচ্ছিন্নতার বেলা,
মন হারিয়েছে জাগ্রত চেতনা,
জীবন হারিয়েছে চাওয়া পাওয়ার বিপন্নতায়-
আর তুমি হারিয়েছ ভরসাবিহীন অন্তর্দ্বন্দে।
সেই বিচ্ছিন্নতার রাতগুলো হারিয়েছি বুকের মাটি,
সেই শ্বাসরুদ্ধ রাতের অনিশ্চয়তা কাটিয়ে-
বেরিয়ে এলাম যখন তুমি সম্পূর্ণ আশয়ে আসক্ত।


আমি টালমাটাল জানা অজানার নিগুঢ় সত্যে
সেই গল্পের ঘাত প্রতিঘাত তখন নির্মাণরত।
স, তোমাকে নিয়ে প্রাত্যহিকের স্বপ্ন তখন
নির্বাহের আবর্তে ছিল জটিল দ্বন্দময়।
সেদিন প্রাণের প্রতিনিধিত্বে অন্তর ছিল অক্ষম,দুর্বল-
আজ কেবল ভান করা বেঁচে থাকার-
যেন আত্মবিক্রয়ের উপহাস--।
আজ যখন প্রেমহীন দৃপ্তের মাটিতে কেবল মিলনের প্রস্তুতি
অথচ সক্ষম হয়েও উপেক্ষিত হয়েছি হৃদয়ের বন্ধণে--।

স,  বিদগ্ধ প্রহরের কাছে দাঁড়িয়ে নিভৃত মন খুঁজছে
তার হিসেব-নিকাশ,সেই অতৃপ্ত হৃদয় আর্তি,
আজ জীবনের শেষ প্রান্তে এসে চাইছে তার পুনর্বিচার।
অথচ ফেরবার পিছটান বিবেকের সঙ্কটে কারারুদ্ধ
আমার এ অক্ষমতার অধ্যায় হয়তো চাপা দেওয়া যাবে-
যন্ত্রনার কাছে হাত পেতে উঞ্ছবৃত্তির অবকাশে,
আড়াল করা যাবে নিত্যকার প্রবাহী সত্তার যাপন।
কিন্তু ফিরানো যাবেনা কিছুতেই সেই অখন্ড সময়ের অপূর্ণতা
স,তোলপার হয়ে চলেছে বিবেক বুদ্ধির অস্থিরতা
অন্তর্দ্বন্দেরা চাইছে প্রকৃত নির্মাণ।
আমি উত্তাল যুদ্ধে বিক্ষত হয়ে চলেছি প্রতি মূহুর্তে।


স,তোমার ছায়ায় হাতড়াচ্ছি এক বিমূর্ত মানস প্রতিম,আজও-
তোমার জাগরণ ঘটাচ্ছি স্বপ্নের ভেতর সৃষ্টিতে নিয়ত
তোমায় না পাওয়ার অজুহাতে নিজেই বিচারাধীন,
জানো বা না জানো,প্রকাশিত যা হয়তো সত্য নয়-
আড়ালেই থেকে যাবে লুকিয়ে রাখা ব্যর্থ প্রত্যাশা,
এ দেহ আশ্রয় করে আছে অদ্যবধি তোমারই মৌনতা
নীরব হয়ে আছে আজও প্রকাশ-অপ্রকাশের দ্বন্দে।