যতবারই সাজাতে চাই শোকের পাথর ঠেলে
আদিম প্রহর কালসিটে দাগ-
ঠেকা দেওয়া দেওয়ালগুলোর ব্যবধান
শত যুগযন্ত্রণার ঝাঁঝরা ক্ষত
মুছে দিতে চাই মরচে যুগের ইতিহাস--
ততবারই মাগো, কোনো এক মুদ্রারাক্ষস
ঠেলে দেয় বন্ধ্যা অতীতে,লুকিয়ে ধ্বংস করে ইমারত ভীত্
নড়বড়ে করে দেয় অস্থিসংযোগ,
স্খলিত পদব্রজে আমি বারংবার হোঁচট খাই---মা।
অথচ বড় সুখে থাকতে চেয়ে--
আমি আড়াল করেছি বোধাবোধ
অন্তরের কষাঘাতে দগ্ধ হয়েছি বহুবার
শ্রমের ফসলগুলো সমবন্টনে পূর্ণ সায় দিয়ে--
আমি প্রতিবার গেঁথেছি বনিয়াদ,প্রগতির ইট--
সাজাতে চেয়েছি সুখ পাঁজর খাঁজে নির্মম বিশুদ্ধতায়,
ভেবেছি যতবার সুখ এনে দেবো
ঘূর্ণির ওপার থেকে নবোদিত সূর্য রাঙা রামধনু রঙে-
মুছে দেবো বর্জিত নোনাজল কষ্টের প্রহর থেকে
ফেলে আসবো বর্জ্য নগর সভ্যতা ছাড়িয়ে---
আর পৃথিবীর প্রান্তর,মাঠ চৌকাঠ,সিংহ দুয়ার ভরে দেবো-
ঝিলমিল হৃদয় উত্সাহে---কিন্তু-
প্রখর ঝঞ্ঝা দিয়ে গেছে পোড়া ছাই আর ধ্বংসাবশেষ
কিছু উত্সাহ উপলক্ষ্য হয়ে--
ছেড়ে গেছে হতোদ্যম।
নষ্ট মেঝেরা পরে আছে না পারা বাঁকের ধারে
ইটের পাঁজরে খুন হয়ে গেছে বিরোধের মতভেদ
আর এ সংঘর্ষের রক্তস্রোতে বিচিত্র আমি--
ফেঁসে গেছি অক্ষমতার বিমর্ষ বেড়াজালে--মা ।
ষড়যন্ত্রী অভ্যাসগুলো কেবলই ভাঙছে
আমার সহযোগের সঞ্চয়,
কি করে এনে দেবো সুখ ?
আমি যে নিজেই বিক্ষিপ্ত ভ্রমে পাথর হয়ে আছি
বিষক্রিয়ায় নীল-----
লীন হয়ে গেছে জীবন-মৃত্যুর ভেদাভেদ
আর সেই ভেদের প্রাচীর ঠেলতে ঠেলতে
পান্ডুর আমি নির্জীব আজ-
মাগো, বোধহয় আর সুখে থাকা হল না আমার।