বেচা হয়েছিল ,বাইশ বছরে চুক্তি
জানতো না কেউ,নিপাট মানুষ সমাজ বলেছে
ও ভেবেছে বিয়ে-বর,সংসার
মা বলেছে,হাজারে এক
বাপ বলে লাখে এক,মেলেনা এমন
দাদা তার নিশ্চুপ বড় নেতা
  সংগ্রাম ছিল তার দেশ গড়া-
প্রেমের মানুষ গড়া-
সমৃদ্ধ করে যাওয়া প্রেম .
কোনো এক অজুহাতে নিষিদ্ধ ক্ষণে
মেয়েটির মরা বাপ বেঁচেছিল
অসহ্য হয়েছিল জীবনে তার দায়বহন--
অগত্যা শেফালীর ঘাড়ে কোপ
বিক্রিত মেয়ে.....
ও ভেবেছে বিয়ে,বর  ,সংসার
সেই শেফালী মেয়ে.....
সংসারে এল মেয়ে সিঁথিতে সিঁদুর,
বে রোজগার ছেলে,মাত্র তাই রফা ওই দর
ছিল প্রয়োজন মেয়েছেলে হল তাই,শেফালী সে
শেফালী মেয়ে,ধুয়ে মুছে গেল বিশ বছরেই
বড় সংসার হল ,এল জীবনের মানে
শেফালী সে বোঝেনি বিক্রিত মেয়ে
দূরে ছিল ভাঙাণী্য়া অন্য সংসার
দেখেনি সে ফিরে
হুশ এল ছেলে তার জেলে গেল
সিঁদ্ কেটে গরাদের....
তখন বর তার বড় কারবারী
কালো মুনাফায় উপছা আয়েস,অন্য ঘর-
শেফালী সে ,শেফালী মেয়ে--
কবে কেটে গেছে তার বাইশ বছর
হিসেব রাখেনি কোনভাবে
কবে তার চুলে পাক জানেনি কোনমতে
কবে ছেলে গেল পালিয়ে
কিছুই বোঝার আগে
পেয়ে গেল বাইশ বছরের অনুদান
তিনলাখ টাকা আর মুক্ত আকাশ
সজ্জার লিপগ্লস বাক্স বন্দী অবকাশ
জরিপাড় শাড়ী মহাজন বর তার-
করেছে যথেষ্ট সম্মাণ পাড়ায়,মোরে
  সে এখন বিক্রিত মেয়ে....
মা নয়,মেয়ে নয়,গৃহিনী সেও দূর
শেফালী নাম তার,বিক্রিত মেয়ে.....
বর তার স্থপতি অন্যত্র সংসার....
শেফালীর অগনিত সম্মাণ লুটায় ধূলায়
বাজারে কখনো ,কখনো পথে,যে যেমন বোঝে
আট থেকে আশি সব,
একদিন সে লাইনেও ভাগাভাগি হল--
বরের বাড়ীর দেনাদার খুব সোহাগী হল
ছিল অবশিষ্ট কিছু যৌবন
চাখবার শখে সে লাইন লম্বা হল ক্রমে
জানত না শেফালী এর নাম বিয়ে
জানত সে বিয়ে মানে বর,সংসার,ছেলে-মেয়ে
জানত না শেষ লাইন ক্রমভীড়
এর নাম বিয়ে--
তাহলে সে ডুব দিত গঙ্গার জলে------