কে তুমি বলেছো প্রকাশের ভাষা,জীবনের দাবি দাওয়া
রেখে হাতে হাত কবে কে কেমন চলেছো তরনী বাওয়া।
সময় বসেছে কালের অতলে  থেমে আছে পথ বাঁকে
বৃথাই  ঢেকেছি  আঁধার  আলোয়  ধ্বস্ত  সময়টাকে।
শুনেছি আলোয় মঞ্চের ভাষা জাগানো হৃদয়ে সহসা
কূল ছেড়ে তরী এসেছিল কোন ঠাঁই ভাসানোর বরষা।
ঘর ছেড়ে পথ শ্লোগানে মিলেছে মহাজন ভরসা যত
তত না মিলেছে রুজি রুটি গেহ সংস্থান অবারিত।
আনা দুই পেয়ে কালের শিশুরা বিভেদ প্রাচীর তুলে
ঝান্ডার  তল ভিন্ন  প্রবল  আপনার  ঘর  ভুলে।
কে তুমি দেখাও নিরাপদ ছাদ আমদানী আক্রোশ
নামহারা যত খেতাবী প্রলাপ কূলহারা প্রেম পরিহাস।
আমাদের গৃহ জোছনা আড়ালে তোমার চিমনী জ্বলে
জল আলো বায়ু, রক্ত ঝড়ালে তোমার শিরোপা মেলে।
এ মাটির স্বেদ আমাদের যদি জ্যোত্স্না তোমার ঘরে
কোন্ বৈদিক যুগ দেবে বলে শ্লোগান তুলেছো জোরে।
থাকো তুমি দূরে মহাকাশ ঘরে ঋতুপ্রেম আনাগোনা
ইশারা তোমার রিমোটের ছলে বসন্ত জাল বোনা।            
খুন হয়ে যায় চেতনার ঘিলু সিল্ হয়ে যায় ভাষা
আলো রোসনায়ে আঁধার কেন স্তব্ধ হয়না দুরাশা।
মাথারা বিকোয় কালো বাজারে আছে পথ অগনিত
বিকোনো মানুষ সোজা হ্য় আরো রুদ্ধ দুয়ার তত।
কে তুমি মহান প্রেম পরিণাম বাড়াও স্নেহের হাত
ভোগে আর ভাগে চটুল শরীর দুদিনের সংঘাত।
যদি বল প্রেম কেন শুধু তুমি দুদিনের কান্ডারী
হৃদয়ে তোমার অথৈ প্লাবন দুহাতের  সহচরী।
ঘিরে কালোছায়া এগোনোর পথ তমসার দুর্যোগ
সেধেছো তোমরা কালের আলো নরকের যোগাযোগ।