আর কত ,
বেশ্যার দেহ হতে পুঞ্জীভূত গরলের ধাতব শরীর-
বেয়ে নেমে যাবে নরকের একফালি ছেড়া আশ্বাস
আরো কতো মৌন ইশারা গলি খুঁজে তালি দেবে
বেকার শরীর , সার বেধে পরস্পর দাসত্বের দেহ
তোমাদের স্বপ্ন উৎসব, উলুদ্ধনী , মান্তাসা আলো,
আশা নিয়ে, দশা নিয়ে, ছিনিমিনি হে সম্ভোগ সুখ,
রাস্তার দুই ধার প্রাণহীণ সর্বনাশী মানুষ অাঁধার--
যুদ্ধরত সর্বহারা রক্ত নেশা শ্রেণী হতে নেমে গেছে-
পথের ধূলায়, প্রথমে ভরসা ছিল সৈনিক হাত আর-
নির্বিবাদ তোমাদের নিরঙ্কুশ ঘরসহ স্বেচ্ছা অধিকার
অামাদের পিঠ বোঝার আদরে কংক্রীটে ছাড়খার ,
মৃত্যুর ঘাঁটি যেন কন্দরে বসবাস, সশস্ত্র সম্ভ্রম দেখি
রাজাদের,প্রজাদের বিলাসিত হুকুমের স্বর ,অামরা বেকার--
শ্মশাণের তপ্ত শরীরে আর কত বাসা বেঁধে উড়াবে-
নিশানা, ভায়া হয়ে কার্তুজ,মাস্তানি, তোমার দাসত্বে-
আর অধম নরক বেয়ে কেনা দাস বিক্রিত দেহে
কত বার আরো বিক্রয় হবে বেশ্যার নাম নিয়ে
পথ হতে রাজধানী, যে চোখে আশ্বাস ছিল শুদ্ধ দুয়ার---
অামাদের সীমানা ছাড়িয়ে তোমাদের অথৈ বিলাস,
বেকার বোঝেনা,মানেনা অভাব, দেখেনি নিস্বতা -
যে দাসের স্বেদ-ঘাম তোমার স্থপতি আমারই সদ্যজাত,
বারাঙ্গণা মেয়ে অামার-ই আত্মঘাতী বেকারত্ব জ্বালা
আর তোমার উৎসবে ওড়ে আমার-ই দেশজোড়া--
স্তিমিত লক্ষ-কোটি বেকারের বুকজ্বালা হাহাকার ।