জাগাতে পারেনি ভ্রুর ইশারা
        ঠোটে মুখে জাফরানী
দোলেনি অঙ্গ খাঁজে বিভঙ্গ
         ঘুঙুরের ঝলকানি।
ইশারা যখন ছোঁয়নি পরাণ
        মেয়ে তাও আনমনে
অকারণ ছাদে হৃদয় হারাতে
        আড়াল খুঁজেছে ক্ষণে।


তখনও ছেলেটি একশো গানের
          ভেলায় সওয়ার সেজে
খুঁজছে ছন্দ না বলা দ্বন্দ বাঁকে
          বলে লোকে আন্দাজে।
ছবি তুলে গেছে সুষ্ট ফিগার
           জিনস্ শর্টস টপে গর্ল
ছন্দ ভরেছে ডায়েরী পাতায়
           মেয়েটি তো আগোছাল্।


আনমনে ভাবে চাঁদের মেটিং
           সূর্য ডুবেছে তাই
চারিদিকে ঘেরা মেঘের দেওয়াল
           আকাশে নোটিশ পাই।
ছেলে দেখেনি ক' কবে কে কথার তারা
           কবিতারা ছিল সাথে
আলুথালু বেশে ছায়া হয়ে যেন
            হৃদয়ের একলাতে।


মায়ামৃগ ভ্রম তবু সে ছড়ায় কথা
          হয়নি অাউল অাঁখির কাজল
খেলেনি ঘূর্ণি ব্যকূল আকূল
            পায়নি অযথা প্রাণের উতল
গেল মেয়ে রসাতল---


বাসন্তী শাড়ী লম্বা বেণীর
         টকটকে লাল গোলাপ টগর
নুপূরের ধ্বনি নিক্কন রাগ
          শেষ ওঠা তার মেঘলা প্রহর,
হ য ব র ল একশো কথার
           টুকরো কাগজ ওড়ায়
এল মেঘ,ঝড়, বিদ্যুৎ ,জল
             এলনা সে ছেলে হায়--
নেমেছে আঁধার নিশুতি প্রহর
             একা মেয়ে  ছাঁদনায়
ব্যস্ত ছেলেটি শেষের পংক্তি
              "আনচান কেন প্রাণটায়"।


পরের খবরে ডেকেছে সাদরে
          ছবি তোলে খসখস্
জিনস শার্ট নয় মৃত মেয়েটির
           নিথর শীতল লাশ।