( একসময়ে আমাদের প্রিয় বিস্মৃতপ্রায় বন্ধুমহলের একটা কফি  হাউস ছিল, প্রায় প্রতিদিনই সেখানে চায়ের আড্ডায় জমে উঠত আমাদের বিভিন্ন বিষয়ের আলোচনা, আজ সত্যি সেই আড্ডাটা নেই থাকলেও কয়ক'জনের নীরব উপস্থিতি বেদনার মত সাক্ষী হয়ে আছে বিগত সেই প্রাণবন্ত দিনগুলোর। সেই হারিয়ে যাওয়া দিনগুলি নিয়ে আমার ক্ষুদ্র স্মৃতিচারণা )


একটি পেয়ালা দাম নিদারুণ কিছুক্ষণ চায়ের আসর
অবসাদ মনে,কিংবা বিরহে,আড্ডা বাসরে  অবসর ।
এক কাপ চায়ের পেয়ালা যোগায় ভরসা উদ্যম মজা
তীব্র চুমুকে কাপ আর উষ্ণ মেজাজে আসরটা তাজা-
চায়ে ঠোটে মিলে মিশে ভাব বিনিময় সুখটান চুমা
অভাবটা বাড়ে যদি না যোগায় পেয়ালার দেনা।
বিকাশটা বাগ্যবাগীশ রেগে মেগে  হেঁকে চলে যায়
নতুন টপিক কতো যার যা সাধ্যমতো কাঁদায়,হাসায়।
মান্নার কফি হাউস এখানেই ঠাঁই পায় পেয়ালার চা
গতকাল কে ছিল আগামীতে কে রবে যদিও খরচা,
ইতিহাস হয়ে যায় আসা যাওয়া মানুষের ধূসর মলিন
পেয়ালারা রয়ে যায় নতুনের ভরসায় একই ক্যান্টিন।
মানুষ থাকে না শুধু কথারাও খুঁজে নেয় অন্য ফসিল
চায়ের আমেজগুলো করে শুধু চাষ-আবাদ কথার মিছিল।
নিয়ম দা উত্সাহে যোগায় এ আসরের দুরন্ত গতি
নিত্য সে মিলনের আমদানী কলহের সেইতো মিনতি।
হাঁক পরে চাওলার শিশুদার চায়ের দোকান নিয়মিত
থেমে যায় ঝগড়া ঘোরে মোর আড্ডা উৎসেরা কত।
সন্তোষ দার কাছে থাকে তালিকার সদা ভেট্ জমা-
চা খরচ টা-টাও মাঝে সাজে খরচের অধিক যোজনা।
হাঁক দেয় অশোক দা নিয়মিত চায়ের পেয়ালা গুনে
সাধন দা তীক্ষ্ন নজর সোয়াদের কোয়ালিটি জেনে-
বলে দেয় সেরা স্বাদ আস্বাদ দলগত আড্ডা কেবিনে
বেজায় চলেছে দম পেয়ালা আমন্ত্রণ আমরা সবাই
মেতে থাকি মৌজে আড্ডা আসলে পেয়ালা নিয়েই ।