আমাকে সৃষ্টি করছি আমি
         সেই শিশুকাল থেকে
আমাকে নিয়ে কতনা দ্বন্দ, কতনা স্বপ্ন-
      দম্পতি, থুরি, দম্পতিদের-
শ্রেষ্ঠ হতে হবে, অসামান্যা, অনন্যা,যেমন-
পরিপাটি আসবাব সারি, তাই নিয়ে কত জল্পনা
যখন দেখতাম আমি মিশে যাচ্ছি জলপাই মাঠে,
পাখনার উচ্ছাস ঠিকরে পড়ছে গঞ্জের আনাচ কানাচে
চূড়ার আহ্বানে শুনতে পাচ্ছি লক্ষ প্রজাপতি আমন্ত্রণ
আমাতে সৃষ্ট আমি একটু একটু করে
সময় তো জানে না সে মুহূর্ত যখন আমি
তীর বেগে ছুঁতে যেতাম অদৃশ্য দিগন্ত
আর পায়ের তলায় মাটির চরম খুনসুটি
আসলে আমি সৃষ্ট হচ্ছিলাম একটু একটু করে ,
দম্পতিদের হা হু'তাশ মাটি করে
যখন আমার টগবগে শিরায় আবিষ্কারের নেশা
  ওরা বলত, মাত্র " ফিফটি পার্সেন্ট ?
           পরিণতি কোথায় "?
অথচ আমার সদ্য চোখ পড়েছে
জলপাই রং আকাশচুম্বীর সুঠাম মুখে--
চলত আমাতে গড়াতে দ্বন্দ
কারিগরের হাতের আদল ভেঙে বেড়োতে পারিনি
পাশের ঘড়ের তুমুল বিপর্যয় ভেদ করে
বল্গা আমি মশগুল তেপান্তরের রেসে।
মিশে যাচ্ছে আট মাস পোয়াতির স্বপ্নগুলো
দেওয়াল কংক্রীটের পাষাণ বাস্তবে
আর মুখ চাপা দিয়ে কোনক্রমে পথ পার হচ্ছে
আমাদের জ্বরাগ্রস্ত অভিভাবক।
আসলে সৃষ্টিরত আমি, ডায়াস, পেন্ডুলামের-
জিওম্যাট্রি থিসিসের ফ্যাইন্যাল পেপারে,
রোমাঞ্চের স্ফীতাবেগে।
প্রথম সই হল আবেগে আমাতে
যখন চূর্ণ হচ্ছে হৃদয়ের ভগ্নাবশেষ
অবশিষ্ট ভস্মের ঘূর্ণি তোলপাড় করে তুলছে অস্তিত্ব
আমি সৃষ্ট হলাম পরিপূর্ণ হয়ে,
পূর্ণাঙ্গ হয়ে, আর এক প্রত্যুষের আকাঙ্খায়--
আমাদের প্রগতির মঞ্চে পাশাপাশি আমি,
        আর পাশে পথ পার হচ্ছে
          ন্যুব্জ অভিভাবকের দল।