ভর সুখে বিষাদ কেমন জানা হয়নি-
কোনোদিন আমার জন্মদিন সমারোহ হয়নি..
নিয়মের মতো দেখেছি শিবলিঙ্গ,গোমতির সহবাস
নিরর্থের উপবাস,জল ঢালা
তাতে কাম্য লাভ হয়....
ত্রেত্রিশ কোটি দেবতার সন্তুষ্টি ফলে
থেমে থাকে অপকৃষ্টি নজর বিভ্রান্তির...
মেঝে ঘর যখন যেমন,
প্রশ্ন করিনি কোনদিন.....


বড় হয়ে সেই প্রাসঙ্গিক ফলে-
সন্তুষ্টি বিধান, সমৃদ্ধ সুখ লাভ
সদস্যদের মাথার সামনে দূলত সেই ফল
তখনো বিষাদ জানিনা..
অপরের কান্নায় হাসি পেত
মৃতদেহ দেখে প্রশ্ন জাগতো
অপলক খুঁজতাম আমার সুখ,সুখের সরঞ্জাম
ঠাকুমার কৃষ্ণ নাম ঝুলিতে চলত তৎপর
অার শুরু হত নামের বদলে
নানান বাক্যভূষণ,গঙ্গাজল ছেটানো কত কি....
জানতে চাইলে বলত "বিষাদ"
ধ্যুৎ তবে ত্রেত্রিশ কোটি কেন?


চোখ মুছে ঠাকুমা বলতেন,
"আমার সন্তুষ্টি ফলে নজর লেগেছে দাদু,
সেই কৃষ্ট ফলে আবাদ হয়-
অনাকৃষ্ট ভূমি বাড়ে উর্বরতা
আজ আমি অনাবাদী অনুর্বর ভূমি
ত্রেত্রিশ কোটির পটে চক্ষু ফোটেনা।"


অামি আর বিষাদ আজ খুব পরস্পর
   চোঁখে খোঁচা দেয়, চৈত্রকে ডেকে এনে দ্বন্দ বাধায়,
রুখে দেয় বৃষ্টির জল,ডাক দেয় প্রলাপের
সর্বাঙ্গ নেয়ে ঘামে দেখে নেয় উদগ্র মানুষী..
হাসে অকারন ভাতে থুথু দিয়ে,
নাচে থালা কেড়ে নিয়ে,রাতঘুম -
আমার ইহ্ আর কিঞ্চিৎ মানুষী জীবন....

বিষাদ আজ অগাধ বিস্তর
    জানবার ক্ষনে,চেনবার ...
ত্রেত্রিশ কোটির বন্ধ চোখ, ঠাকুমার অভীষ্ট ফল...
আমার দশ আঙুলে কৃষ্ণ নাম ঝুলি
ভেতরে বিষাদ, মানুষী জীবন
সব আজ বুঝে গেছি ভীষন পরিষ্কার।