অনেকদিন পর আমরা একত্রে
      কোন কার্পণ্য পাই নি লেনদেনে,
গন্ডী ছেড়ে,পার্থিব অপার্থিব প্রসার ছাড়িয়ে
যখনই তোমাতে মগ্ন হয়েছি
পেয়েছি তোমার অগাধ হৃদয়।
রৌদ্রের পায়ে ভর করে
চলতে চলতে ক্লাান্ত মনে হয়নি কখনো
নিরেট পাথর থেকে আঁছড়ে
ধুঁকে,শুকে শুধু মরিচীকার হাতছানি
ছুটে গেছি ক্লান্তি নিয়ে,
নিরাশ কর নি কখনো
যুগ যুগান্তের পরিসর ঢেলে
বলেছি, "দ্যাখো আমার সরঞ্জাম
নুড়ির প্রহর হয়ে জমে আছি-
কথায়,ভাষায়,ঘরে ঘরে---
আমায় সংগ্রহ করো,কিংবদন্তী করো
ঘরের চারপাশ আমার চলাচল
মেঝে থেকে রাজপথ--
চলে গেছি নানা রুপ বেয়ে
সংবাদ, বি-সংবাদে।
যার মুখ চেয়ে দিন গোনা আমার বসতি
যে ফলায় লেগে থাকে মাটি
আমার প্রাণের গুঞ্জণ,
অত:পর ছেয়ে যাওয়া আমি তোমারই প্রতিতী,
তোমার খুশীর তুফান আমার আবেগ
তোমার বলে যাওয়া আমার প্রেমালাপ,
আমাতে মগ্নতা শুধু,
যখন একত্র হই বিলীন পরস্পর।
প্রকৃতির ঘনঘটা, ঝঞ্ঝাতুফান, রোষে
আমি থাকি গোপন বিলাসে
গুপ্তকক্ষে আলোড়ণ তোমাতে আমাতে
ছেড়ে যাওয়া গিটের আঁচল
আর উলুদ্ধনী পায়ে তোমার ভরসা...
মজলিসে রেখে দেই আমার সখ্যতা
দ্যাখো আমি মৃত দ্বারে সাজিয়েছি
শব্দের বশীকরণ, যখন-যেমন....।
দ্যাখো ফের একত্রে আমরা
নিরুত্তর পরস্পর,আসলে স্বভাব চাইছি  ঘোরতর
শ্লেষ হতে,দ্বেষ হতে,ক্লেশ হতে উঠে অাসা
শব্দের প্রকরণ আর তার বশ্যতা
আবারও রমন,স্বেদন ,প্রজনন।