হলফনামায় কদর নাই
                সমাজনামায় ক্ষোভ
বাউন্ডুলের বিরাগভাজন
                 কেমনতরো রোগ?
বিদেশফেরত কেতাব লিখে
                  মজলিসে মসগুল্
দালালগুলোর ডিস্কো নাচন
                   ছুড়ছে বুকে শূল।
আবডালে তার আসর জমে
                   প্রাণ করে আনচান
বোবা মুখের নীরব রোষে
                   অক্ষরে প্রাণদান।
মখমলী চায় আলগা পিড়ীত
                   আড়াল খোঁজা ভান
স্পীকটি নটের ছানাপোনা
                   আজন্ম শয়তান।


সুযোগ বুঝে জরদা নেশার
                   প্রাণঘাতী এক বিষে
সেবন দিল বাদশাহী পান
                   মিছে মোকাম শেষে।
ঝড় উঠেছে কামরা জুড়ে
                   যাত্রী সকল ত্রাসে
এইবুঝি প্রাণ ওষ্ঠাগত
                 যে যার মতো পাশে।
কেউ জল,কেউ বাতাস করে
                মরদ নাকি হারাম
কূট বিবাদের বাটরা চালে
                কামরাসহ প্রমাণ।


মরদ মশায় ঠাকুর জপে
                বিড়বিড়িয়ে কেঁপে
কি ছিল মন্ বিচার করুন
               ভাবুন বিষয়টাকে।
ডর কমেছে যখন সবায়
                 স্বস্তিতে প্রাণপন
মশায় মরদ পুরুষ সাধেন,
                 "সুস্থ বিলক্ষণ"?


এমনতরো পুরুষ মানুষ
                   লিঙ্গ স্থানান্তর?
নেশার ঘোরে প্রবাদ বানায়
                   কাব্য হাস্যকর।
ঢোক গিলে যায় আসল নকল
                 ভুঁয়ো পারিষদ
উৎকটের এই কেঁচোর গর্তে
                 সাপের সহবত্।
সাক্ষী অাছে চন্দনা আর
                 সঙ্গী যতেক ছিল
কাঠগড়াতে সঠিক জবান
                 দিয়েই কবুল হল।
তাই বলি ও" পটলা খুড়ো
                খেমটা নাচন ছাড়ো
বজ্জাতিদের জাত জুয়ারী
                আসল কথা ধরো"।
মিছে কেন হাঁক পারো ওই
                সাত সতেরো হেকিম
জজের সমুখ করছে কবুল
                 ষোলআনাই নো-থিম্ ।
আপন ঘটি ফাঁকাই বোলাও
                চোদ্দ হেকিম হাত
শেষ প্রহরের প্রলাপ জোটে
                মশগুলে সংবাদ।


( কবিতাটি আমার এক বন্ধুকে উৎসর্গ করলাম,যে আমায় নিয়ে একটি বিদ্রুপ কবিতা রচনা করেছে,নামটি উহ্যই থাক্)