ঠিকানা চেয়েছ বন্ধুর  ?
পারিজাতের স্বাক্ষর হাতে সে তখন প্রাণের অবগাহন
বৎসর বৎসর জেগে সে ছবির দিব্য জন্মান্তর
এ-টুক বলতে পারি,
নইলে কার সাধ্য অমন স্বীয়
অত্যাশ্চর্য্য প্রাণান্ত হাসি--?
ঝকঝকে পল্লবিত প্রান্তর ভরে
নৈমিত্তিক জুড়ে থাকা ফোয়ারা স্পন্দনে
যে মৎস্যকন্যার সন্তরণ
খুব জীবন্ত বলো.......প্রকৃত ক্যানভাসে?
দেখেছি তো জমিয়ে রাখা চোখের,গালের,ঠোটের
ব্যপ্তিতে কি বিদীর্ণ জ্যোৎস্না ফোয়ারা
ধরা পরে যায় রংহীন অ-প্রচলিত তুলিটানে।
এ ছবি নেহাত্ প্রত্যন্ত সময়ের-
গোপন আরাধ্যের অনিবার্য্য ব্যঞ্জণা
আড়ালে দেখেছি বহুবার,
ধন্য ছবির প্রানান্ত অাবেদন
লক্ষ্ প্রানের ভূয়সী প্রশংসা জড়িয়ে থাকা চোখ্-
পৃথিবীর মঞ্চে তোমার তৈলচিত্রে
আদিগন্ত প্রশান্তির চুমা......বলো, তা কি শুধু আয়োজন?
কার সাধ্যি তা টেনে নামায় নি:ঝুম প্রান্তরে?
দেখেছি সে ছবির অনায়াস প্রাঙ্গণে
কত সহৃদয় প্রতীতির মুখরতা-
অসংখ্য করতালির রহস্যে তুমি যে কি নমনীয়-
তার ঠিকানা আমি কেমন করে দেব বলো?
মধ্যের নদীটা পাড় ভাঙতে ভাঙতে
তলিয়ে দিয়েছে সময়টাকে
পারলে দেখে যেও আক্রান্ত হাড়-গোড়।
যেখানে জোয়ারে সহস্র ঝিনুকে খুঁজতাম
মুক্তোর অত্যাশ্চর্য্য.....শৈশব
আজ ফিরে গেছে অন্য কোন চরে
যেখানে জন্ম নিয়েছে সেই বন্ধুর পারিজাত।