শবর মিঞা, পাশে দুটি গাই
কাঁধে লাঙল চলেছে আল্ বরাবর
মেঠো পথ ধরে
কেউ বলে কিরাত,ডোম
আমি চিনতাম শিকারী হিসেবে -


ঝাঁকড়া চুলের রাশ
ফাঁকে চকচকে ধারালো দৃষ্টি ছাপিয়ে
তীক্ষ্ণ সেই নাক
সরু গার্নিস ঠোঁটে অপার্থিব বাঙ্ময়তা
পৃথিবীর সব মুগ্ধতা এসে মিশেছে
উদ্ধৃত পৌরুষে !


কোটর ভেঙে একত্রিত দুটি কুচকুচে
মনির ভেতর জ্বলতো
দৃষ্টি নিবদ্ধ দুই সাদা উল্কি, পাতার ফাঁকে
গভীর কোটরে, চিকন শাঁখের মগ ডালে
অথবা ঘন ঝোঁপে গুঁড়ি মেরে থাকা
হলুদ ডোরার তেল রঙা দেহে, সুযোগ বুঝেই
ঘায়েল, তেলতেলা হাতটা
উঠে আসত কাঁধ বরাবর !
পতনের আওয়াজ ঝুপ" , বাওয়ালী
গাইতে ছুটে আসত ঝুপড়ি ঘরে,
পিঠ শড়কি ছেয়ে যেত, কাক,পক্ষী, জানোয়ারের
ঝুলন্ত শিকারে !


আমি কিন্তু চিনতাম শিকারী হিসেবে
আলপথে একরাশ ময়লা, ধূলোয় দেখতাম
সপ্ত ডিঙার মত কাঁধ থেকে
নেমে দিত লাঙল ফলা, মাটি চিরে
অমৃত্ গন্ধা ফল্ , উদাত্ত সেই সুরে
বীজ ছেড়ে বৃষ্টি জলে তা ' দিচ্ছে
প্রগলভ্ কোন শিশু , চিনলাম কৃষক বলে সেইদিন !