গল্পটি বলতে বলতে মা
ঘুমিয়ে পরেছিল ' ওঠেনি আর
ইদানিং ফ্রেমের মধ্যের
কালশিটে তোরঙের একগুচ্ছ দাগছোপ নিয়ে
আমিও তথৈবচ, তাকেই খেলনা বলে
জাগতিক উন্মাদনা আজ, খেই হারিয়ে
অবজ্ঞার রশি হাতে সে এখন
দ্রোহের কথা বলে, বড় হতে হতে
ছিড়ে গেছে যোগসূত্র, বয়ামের লাটিম
এখন বনবননন্ কোমল গান্ধার হয়ে
ছড়িয়ে দিচ্ছে বৈষয়িকী স্তূপ
তাতে ফয়েল হচ্ছে বিমূর্ত সন্মোহন !
চলে যাওয়ার পর
আরো তিনটি নদী পথ ভুলে
গড়িয়ে গেল
অতলান্তের নিচে
দলে পিষে থ্যাতলা হল
তার এক এক নথি, স্বপ্নের ক্যম্প ঘিরে
গজিয়ে উঠল হাজার ভোল্টের উল্লাস !
পাশেই সংক্রমণের ডাস্টবিনে
একচ্ছত্র দেহে আমারই শৃগাল অথবা কুক্কুর জন্ম
ছাল ছাড়াতে ব্যস্ত শতকের।
ভিন্ রাস্তা দিয়ে পাচার হল মেয়েদের চুম্বকীয় যৌনাঙ্গ
সমুখে সে-ই মিস্ যুই
বলা হয়নি তোমাকে -
তিন দশকের শাখে কলমচি নেই বলে টুকরো করে
পাচার হল একশত পামের সার
জল ফেলে বিষয় খুঁজে দু'হাতে ঘাড় মটকে দিচ্ছে
কলম্বিয়ান ফ্ল্যাট, আচ্ছন্ন শিবিরে কেবল
ক্ষয়রোগের সারি, আমি কষে ধরেছি পেন্ডুলাম
মা তখন ঘাড় নুইয়ে পরে আছে
সদ্য স্যানিটাইজড্ অবাক জন্মান্তরে
দেহে তার ছিনিমিনি খেলার সুস্পষ্ট আওয়াজ


মুঠো মুঠো স্বপ্ন সটান ছুড়ে দিত সেই বেলা
ছুঁয়ে আছে অবসরের চৌকাঠ কোনদিন না ছাড়বার
প্রতিজ্ঞায়, আঙুলে জড়ানো আটপেরে আঁচলের
গিট -
সম্ভবত বাম পাশের ওই জন্মামৃতে মুখ গুজে পড়ে থাকত শৈশবের সকাল বিকেল,
ওই যাকে -
তুমি ভীষণ অপছন্দ করতে-


কি যেন নাম -
নাম যেন কি -


জানো, মাও আর নেই আজ !