মৃত্যু এখন খুব ছোঁয়াচ এক ব্যতিক্রমী মন্বন্তর
খুব নীরবে পার্টিশনের প্রাচীর তোলে পরষ্পর।
বাইরে যারা ঝলসে শরীর পুড়ছে সারি সারি
দুয়ার আটা সন্ধিক্ষণের কোথায় তাদের বাড়ি?


খুব সোহাগে রত্ন সেজে যত্ন সাজান প্রবল ধন্
কেউ তখনো জীবন খোঁজে মৃতের খাতে উত্তরণ
বাঁচবে যারা খুব হিসেবী বুঝছে না হায় কি কখন
মৃত্যু যখন চুপটি চোখে পট্টি বাঁধে ঠিক তখন।


সব মরণেই শেষ হয়েযায় সবশেষেই শোক
সব বুঝেও হামলা সাজায় কিংবদন্তি লোক
ওপরওলা টানেন যেমন পুতুল খেলার দড়ি
সকাল হলে হঠাৎ করেই জীবন প্রসব করি।


ছোঁয়াচ মানে গোপন কিছু উচ্চস্বরে চেঁচিয়ে বল্
খুব সজোরে মন্বন্তরের মর্মকথা থাক আগল
জীবন মানে খুব বেশি নয় কয়েক'ছটাক কৌতূহল
জারক নামে পাত্রজুড়ে ছোঁয়াচ নামক এ্যলকোহল


ছোঁয়াছ হল ঘুঁণ ধরা এক খুব গভীরে যুদ্ধস্থল
মনজ্বলে আর প্রাণেরঘরে গোপনঘাতক মর্মতল
শরীর হল ছড়িয়ে ধরা আপন ঘরের রোগস্বজন
রোগ নামকে পোষ্যটাকে বুকের তলে খুব পালন


মরণ হল মানুষ নামক বিরোধী এক শূণ্যস্থল
সব ক্ষুধাতুর বুকের জ্বালা সব তৃষ্ণার সমান তল
সব ব্যথাদের সমানজ্বালা সব জ্বলনের এক স্বভাব
সব মানুষেই প্রেম বয়ে যায় সব প্রেমেই অন্নজল।


ধনী গরিব এক পাটাতন একই সহায় যে যেমন
মৃত্যু যখন খুব ব্যাথা দেয় অশ্রু একই সব বেরঙ
ভাইরাসে আজ ব্যপক মিলন চোখ খুলেছে মর্মবোধ
শেষক'টা দিন সুযোগ পেলে ঋণ হবে কি পূর্ণশোধ।