সেই পৌষ সন্ধ্যায় বর্ণালী চ্ছটা চোখ
শেষ বিকেলের আবরণ সরিয়ে উকি দিচ্ছে আঁধার
ছেয়ে যাচ্ছে শহরটার প্রতিটি রন্ধ্রে
গূঢ় চাঁদে নকশা বুনছে আঁধারের রোমকূপ
উছলে উঠছে মহা জাগতিক ঢেউ তট ছেয়ে
গুড়ো গুড়ো আবছায়া উচ্ছন্ন যেন, তারি মাঝে
পর্ব খুঁজতে এসেছি
অজস্র ফেনিল রাশির মহাসঙ্গম
বরফকুচো হয়ে ছড়িয়ে পড়ছে পার্থিব জঙ্ঘায়
ক্রমে মিলিয়ে যাবার সময় রেখে যাচ্ছে
চোখজোড়া -


একদল কর্নিয়া নিয়ে শুরু হল
আমার দ্বন্দযুদ্ধ -


কোথাও নিশ্চ্ছিদ্র আঁধার উৎকট শব্দে
ছিড়ে ফেলছে সভ্য আবরণ, এগিয়ে চলেছি
স্তব্ধতার দিকে
ঝুঁকে পড়া কাঁধটায় সদ্য বসানো স্ট্রেস্
খুলে পড়ল চশমা
ছিটকে গেলাম শূণ্য গ্রহে
আষ্টে পৃষ্টে জড়ানো কাপড়ে একবিংশের মুনাফা
সদ্য সোমত্ত মেয়েটিকে ঘিরে
আবহ সেনসেক্সের উত্থান পতন
আমি রশ্মি খুঁজি বিধ্বস্ত প্ল্যাটফর্মে, খেঁচিয়ে উঠল কেউ
আহা দেখতে পাইনি বাছা -


এইবার শুকনো ডালে ভর করে
দাঁড়াব সোজা হয়ে , ছেড়ে গেল শেষ গাড়ি
ফিরল না সে
পার্লার ছেলেটি বন্ধ করছে ডোর
মৃদু হাসি, হাত দেখালাম
জানিই তো - শেষবেলা দিয়ে গেছে ধরে
কাছে এসে টুকড়ো কাগজ দিল গুঁজে


অদূরে গাড়িটি - থার্ড সিগন্যাল ভেতরে জবুথবু
বেঁচে দেওয়া লোক |