স্বর্গে যাব বলে
*****************


এখনই ছুঁয়ো না শেষ প্রান্তের হরিধ্বনী হলে
তার আগে মাসের উপবাস সঙ্গে
তিনশ তিলক এঁকে কোনমতে চাপা দাও
ক্রমন্নতির হৃদস্পন্দন, কোন অবস্থা নেই আর
মাটি নিয়ে বসে পড়েছে যে যার
মূর্তি গড়তে | সভা শেষের নির্জনতায়
বসেছো অন্তমিলের কাব্যে !
চোখ নিভে যাচ্ছে হলুদ ক্ষেত্র ঘিরে, বনবন দুলে
উঠবে ভব সংসার এ তামাম খাট মোহ
দেহ ,যাবতীয় মাস বছর যুগ
ওঠো ওঠো গুটিয়ে নাও সব -


এভাবে স্বর্গলাভ - জ্বলতে পুড়তে
শুধুই গুছিয়ে যাবার পালা
তপ্ত শিরায় গনগনে বাতাসে সে সংকেত
সময় নেই আর দানী ভর্তি আঁচল বিছিয়ে
পশম কাটায় জুতায় জরির কাজ -
দেখনি গোরস্থানে দাফন বিছিয়ে মন্ত্রপূত: জল
ছেটাচ্ছে সন্তান | মাথা খুইয়ে ঢলে পড়ল
আরেক মায়ের শবদেহ | প্লেনে ওঠার আগেই
নাভিশ্বাস | বিশ্বস্ত সন্তান শেষ পাত্
দিয়েছিল বটে , হল ত স্বর্গলাভ |


নবীকরণ চলে না এখানে , সংকেত এলেই
হাত তুলে দাঁড়ানোর পালা
হরিধ্বনী হলেই স্টার্ট, জমা খরচ বুঝিয়ে
চুপসে যাওয়া খাদ্যনালীর পাঁচগুণ ইন্টারেস্টের
প্রশস্ত স্বর্গদ্বার , কত জন্মের ফল |


ধুকতে ধুকতে, হাফাতে হাফাতে পিত্ত নালী চেপে
তবেই স্বর্গলাভ - এ কি চাট্টিখানি কথা !