🖋️
শত শত বছর ধরে পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতার
মন্ত্র করে পাঠ,
শেখাতে পারিনি মানবীয় বৈশিষ্ট্য ।
অবিজ্ঞাত প্রকৃতির উদ্দাম রূপ (করোনা)
শিখিয়ে দিলো মূহুর্তে বিশ্ববাসীকে,
হাঁচি-কাশির  শিষ্টাচার।


বিশ্বের মানুষ যখন মনুষ্যত্বহীন,
ইচ্ছে করে মাতাল হয়।
হিংস্র পশুর মত অবিবেচক, অজ্ঞতার
প্রামাণ্যচিত্র একে দেয় মানচিত্রে।
অযোগ্য নেতাদের দখলে যোগ্যতার
শিখর চেয়ার,
ক্ষমতার করে অপব্যবহার,
ঘোড়া হাকিয়ে পিষ্ট করে
অধিকার আদায়ের মিছিল,
সত্যবাদীদের বন্দী করে রাখে
মিথ্যার বেড়াজালে,
শক্তি প্রয়োগে কিনে নেয় আপাদমস্তক।
নিরব চোখে কান্নার স্রোত নামে নদীতে,
বুক ফাটা আর্তনাদ চেঁপে রেখে
ছাড়ে দীর্ঘশ্বাস, ঝড়-বন্যা-জলোচ্ছ্বাস।


অখাদ্যে অভ্যস্ত সৃষ্টির সেরা জীব,
উজাড় করে বন ও বন্যদের
জংলী হয়ে তাড়া করে ফিরে অন্ন।
প্রকৃতির বুকে আঘাত হানতে হানতে
একদিন রুখে দাড়ায় বিপ্লবী নেতার মত
দৃঢ় প্রত্যয় নিয়ে। যখন বিপর্যস্ত প্রকৃতি
তখন, প্রাকৃতিক ভয়াল থাবায় বিষাদের বীণ
বাজে ভায়োলিন
কে রাখে খেয়াল, হা ভাত না বাড়া ভাত
এভাবেই চেঁপে বসে ধস,
'উদোর পিন্ডি বুধোর ঘাড়ে'।
অভিশপ্ত তীর এড়াতে নিজেকে আড়াল করে
নিজের ঘরে,
দরোজায় দেয় খিল,পৃথিবীবাসি
আকাশ দ্যাখে জানালা দিয়ে।
হে মানব জাতী, এভাবে আর কত?
এবার ধ্বংস কর,মনুষ্য সমাজের
মনুষ্যত্বহীন বিবেকটাকে।


আধুনিক যত যন্ত্র তন্ত্র নিয়ে
কেউ বা ঠেকাতে আসে অপ্রকৃষ্ট প্রতিফল।
মানবতার কথাবলে মঞ্চ কাঁপায়,
নোংরা হৃদয় প্রদর্শন করে
হাত ধোয়া শেখায়,
ধু ধু মরু প্রান্তে,শুষ্ক গলদেশে।

প্রকৃতির এ ভয়াল থাবা ঠেকাতে এসোনা।

তবে,পা বাড়াও বাসযোগ্য পৃথিবী গড়তে
হাটো, টেকসই উন্নয়নের পথে
ভাবো, নশ্বরবাসীর অবিনশ্বরের কথা।
দু'হাত তুলে চাও ক্ষমা,
এই করুণ কর্মফল হতে।
কেননা, ব্যাধি দিয়েছেন যিনি
তার প্রতিকার ও দিয়েছেন তিনি।
বিনীত আনত চিত্যে
প্রকৃতির মালিককে বলো,
সবই আমাদের দু'হাতের অর্জন
আমাদের দারুণ, করুণ প্রতিফল।